আলোচনা ছাড়াই ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক-যুগ্মআহ্বায়ক নির্বাচিত
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:২৯
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।
কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক ও দু’জন যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচন করা হয়েছে। দুই শিক্ষকের লিখিত আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ না দেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন দলের সিনিয়র শিক্ষকরা। তারা বলছেন, এভাবে নির্বাচন দলকে বিভক্ত করবে।
সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদা দলের এক সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সহসম্পাদক ড. মোর্শেদ হাসান খান ও অধ্যাপক লুৎফর রহমানকে যুগ্ম আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়।
সূত্র জানায়, এবার সাদা দলের গ্রহণযোগ্য সিনিয়র কোনো শিক্ষককে ফোরামের আহ্বায়ক পদে দেখতে চেয়েছিলেন অধিকাংশ শিক্ষকরা। কিন্তু তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে আহ্বায়ক ও দু’জন যুগ্ম আহ্বায়ককে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন (ড. ওবায়দুল ইসলাম ও ড. মোর্শেদ) বিএনপির জাতীয় নির্বাহী পদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। তারা সদ্য গঠিত বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় পরিষদেরও আহ্বায়ক ও সদস্য পদেআছেন। এ ছাড়া ড. মোর্শেদ ইউট্যাব নামে একটি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন। এ পরিস্থিতিতে দু’জন শিক্ষকের কাছে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে বলে মনে করছেন সাদা দলের শিক্ষকরা।
সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে সাদা দলের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাদা দলের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক আখতার হোসেন খান। সভার শুরুতে তিনি রুলিং দেন, কোনো আলোচনা করা যাবে না। এরপর তিনি দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করেন। এতে সাদা দলের সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায়। দলের অনেক শিক্ষক মনে করছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের যেখানে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা, সেখানে এই সিদ্ধান্ত বিভাজনকেই ত্বরান্বিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, এভাবে আহ্বায়ক এবং দু’জন যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচন সাদা দলের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এটি সাদা দলের জন্য একটি অশনি সংকেত।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমি একাধিক পদে নই। শুধুমাত্র শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। সাদা দলের সঙ্গে বিএনপির কোনো অঙ্গসংগঠনের সম্পৃক্ততা নেই। শিক্ষা সমন্বয়ক কমিটিকে কোনো কমিটি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব হিসেবে পড়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদা দলের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান সারবাংলাকে বলেন, যা হয়েছে গঠনতন্ত্র অনুসারেই হয়েছে। গঠনতন্ত্রে আছে, কেন্দ্রীয় পরিষদের সুপারিশ অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। উপস্থাপনের পর পাস না হলে সেটা আবার ফেরত যাবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। আমি উপস্থাপন করেছি এবং সবাই অনুমোদন দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে কেউ আছেন কিনা, তা জিজ্ঞাসা করেছি। তখন কেউ হাত তোলেননি।
সারাবাংলা/কেকে/টিআর