Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কফি আনানের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিশ্ব নেতাদের অংশগ্রহণ


১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:০৪

Nane Maria, the widow of Kofi Annan, Ghanaian diplomat and former Secretary General of United Nations who died on August 18 at the age of 80 after a short illness, stands in front of his coffin at the Accra International Conference Centre in Accra on September 12, 2018. Annan’s body will remain at Accra Conference Centre until the burial ceremony that will take place on September 13 at Burma Camp military cemetery in Accra. Kofi Annan was the seventh Secretary-General of the United Nations, serving from 1997 to 2006. / AFP PHOTO / Ruth McDowall

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

জন্মভূমি ঘানায় বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। এতে বিশ্বের সাবেক ও বর্তমান নেতারা অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।

আক্রা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এর আগে, এ কূটনীতিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঘানায় তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়।

১৮ আগস্ট প্রথম প্রহরে সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানায় কফি আনান ফাউন্ডেশন। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রাষ্ট্রীয় এ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঘানার তথ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিবেশী দেশ আইভরিকোস্টের প্রেসিডেন্ট এবং লাইবেরিয়া, নামিবিয়া, ইথিওপিয়া, নাইজার ও জিম্বাবুয়ের নেতারা বৃহস্পতিবারের এ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে তাদের অংশ নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আদো এ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানকে তাদের দেশের জন্য একটি বড়ো ধরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি আনানকে এই প্রজন্মের অনেক বিখ্যাত লোকের অন্যতম হিসেবে বর্ণনা করেন।

কফি আনানের কফিন জেনেভা থেকে দেশে আনার পর ঘানার সাধারণ জনগণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাকে গভীর শ্রদ্ধা জানান। কফিনটি লাল, সবুজ ও সোনালী রঙের পতাকা দিয়ে মোড়ানো রয়েছে। আনুষ্ঠানিক পোশাকে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা কফিনটি ঘিরে রাখে।

উল্লেখ্য, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান হিসেবে জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব হয়েছিলেন তিনি। কর্মী হিসেবে জাতিসংঘে যোগ দিয়ে তিনিই প্রথম সংস্থাটির শীর্ষ পদে আসীন হয়েছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুই দফায় সংস্থাটির দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন তিনি।

১৯৩৮ সালের ৮ এপ্রিল ঘানায় (তৎকালীন গোলকোস্ট) জন্ম নেন কফি আনান। তিনি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী হিসেবে প্রোটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায়ের মুখপাত্র ছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

বিশ্ব শান্তির জন্য অবদান রাখায় ২০০১ সালে তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার নিয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে তার নেতৃত্বেই গঠন করা হয় ‘কফি আনান কমিশন’।

সারাবাংলা/এএস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছেই
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০০

সম্পর্কিত খবর