পদ্মার থাবা থেকে নড়িয়াকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:২৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: প্রমত্তা পদ্মার আক্রোশে বিধ্বস্ত-জরাজীর্ণ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ। সর্বনাশা পদ্মার পেটে গেছে শত শত ঘরবাড়ি, অগণিত অবকাঠামো। পদ্মার পানিতে বিলীন হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, হাসপাতাল, বাজারঘাট।
পদ্মার থাবায় বিপন্ন জনপদ ও জনপদের মানুষ। প্রমত্তা এই পদ্মার হাত থেকে নড়িয়াকে বাঁচাতে শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে শনিবার সকালে শরীয়তপুরের সন্তান ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নড়িয়ায় নদীভাঙনের সর্বশেষ অবস্থা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিকভাবে মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, পানি সম্পদ সচিব ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের গণভবনে ডাকেন। নড়িয়াকে ভাঙনের হাত থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ায় রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট সচিবরা নড়িয়ায় যাবেন। নদীখননের জন্য নড়িয়ায় এরইমধ্যে ড্রেজার পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে এনামুল হক শামীম সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডেকেছিলেন। তিনি নড়িয়ায় পদ্মার ভাঙন বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জেনেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’
গত জুলাই মাস থেকে পদ্মার ভাঙন তীব্র হয় শরীয়তপুরে নড়িয়াতে। এরই মধ্যে সেখানে চার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হারিয়েছে তাদের বসত-ভিটা। প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়ক এখন পানির নিচে চলে গেছে, নড়িয়া উপজেলার মুক্তারের চর ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড এবং কেদারপুর ইউনিয়নের চারটি ওয়ার্ড এরই মধ্যে পদ্মার গর্ভে হারিয়ে গেছে, পৌরসভার বাজারের ৪০টি দোকান চলে গেছে পদ্মায়।
সারাবাংলা/এনআর/একে
আরও পড়ুন
ভিডিওতে পদ্মার ভাঙন
নড়িয়া উপজেলা কমপ্লেক্স হেলে পড়েছে পদ্মায়
আমি এখন কী করমু, কী খামু?
মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে নড়িয়া উপজেলা
সর্বনাশা পদ্মা
আগে ছিলাম ক্লিনিক মালিক, এখন গাছ ঠেলি
ও কূল ভাঙা নদী রে