Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পদ্মায় ভাঙন রোধে নড়িয়ায় ড্রেজিং শুরু সোমবার


১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:৪৩

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

শরীয়তপুর: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, নড়িয়ার ভাঙন কবলিত এলাকায় ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করতে আজ রোববারই একটি ড্রেজার এসে পৌঁছেছে। আগামীকাল থেকে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। এছাড়া পানি কমলেই এ এলাকায় বাঁধের কাজ শুরু করবে সরকার।

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর, মুলফৎগঞ্জ, বাঁশতলা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের তিনি এসব কথা বলেন।

সচিব বলেন, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের জন্য শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার ৯ কিলোমিটার জুড়ে ‘পদ্মার ডান তীর রক্ষা প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প গত ২ জানুয়ারি একনেক সভায় পাস হয়েছে। পদ্মা সেতু থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯৭ কোটি টাকা।

২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে পদ্মার ভাঙনের তীব্রতা রোধে জুলাই মাসে সাড়ে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ অর্থ ব্যবহার করে ১১ জুলাই থেকে ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়ে যা এখনও অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মূলফৎগঞ্জ বাজারের পদ্মার পাড়ে জিও ব্যাগ ফেলে কিছুটা হলেও ভাঙন ঠেকানো গেছে। এই খাতে নতুন করে আরও ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পদ্মার স্রোতে নড়িয়া-জাজিরার তীরগুলো ভেঙে যাচ্ছে। তাই মাঝখানের চরগুলোকে কেটে ওই দিক দিয়ে পানি প্রবাহিত করার চেষ্টা চলবে। স্রোতটাকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। প্ল্যান করেই কাজ শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই কাজে নড়িয়া এলাকায় একটি ড্রেজার এসেছে। আরেকটি ড্রেজার দুই একদিনের মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকায় পৌঁছে যাবে।

বিজ্ঞাপন

ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, নড়িয়া-জাজিরার এই অংশে ৯ দশমিক ৭৯ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের কাজ করা হবে। আর ৯ দশমিক ৯০ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া একনেকে পাস হওয়া পদ্মা সেতুর ডানতীর ও বামতীর বাঁধ রক্ষায় ১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ এই শুকনো মৌসুমে শুরু হবে।

আড়িয়াল খাঁ, মধুমতি ও পদ্মা নিয়ে আরও ২ হাজার ৯১ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। প্রতিবছর পদ্মায় ভাঙনে যারা সহায় সম্বলহীন হয়ে যাচ্ছে তাদের কথা চিন্তা করে রিভার সিস্টেম ডেভেলপ করে স্থায়ী বাঁধ গড়ে তোলা হবে। ১০০ বছরের পরিকল্পনা এটি। নদ-নদীর জন্য আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে তথা ১২ বছরে ২ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৮০টি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। যে প্রকল্পগুলো সরাসরি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের।

প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে নড়িয়া উপজেলা চত্বরে ভাঙন কবলিত এলাকার ১ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি চিড়া, ১ কেজি বিস্কুট, ১ লিটার সোয়াবিন তেল, ৫০০ গ্রাম মুড়ি, ১২টি দিয়াশালাইর প্যাকেট ও ১২টি মোমবাতি বিতরণ করেন সচিব।

ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামিম, বাংলাদেশ পানিউন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাফুজুর রহমান, জেলাপ্রশাসক কাজি আবু তাহের, উপজেল নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিনসহ অন্যান্যরা।

সারাবাংলা/এমএইচ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কোস্ট গার্ডের নতুন ডিজি জিয়াউল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩২

সম্পর্কিত খবর