বাবলির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলো ‘গরিব এন্ড এতিম ট্রাস্ট’
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:২৪
।। হৃদয় দেবনাথ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
মৌলভীবাজার: গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিরল রোগে আক্রান্ত অসুস্থ এতিম শিশু বাবলির পাশে দাঁড়িয়েছেন ইউকে
প্রবাসী ও গরিব অ্যান্ড এতিম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাওলানা ছালেহ হামিদী। রোববার(১৬ সেপ্টেম্বর) গরিব অ্যান্ড এতিম ট্রাস্টের প্রতিনিধি তুহিন চৌধুরী ও মাওলানা শাফি উদ্দিন বাবলির বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করে বাবলির সার্বিক চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং চিকিৎসার জন্য ২ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। বাবলির চিকিৎসার জন্য যত অর্থ ব্যয় হবে তা গরিব এন্ড এতিম ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বহন করা হবে বলেও সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ট্রাস্টের প্রতিনিধি তুহিন চৌধুরী।
তুহিন চৌধুরী জানান, সারাবাংলা এবং জাগো নিউজে সংবাদটি প্রকাশের পর আমি এই বিষয়টি নিয়ে গরিব এন্ড এতিম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ছালেহ হামিদির সাথে লন্ডনে মুঠোফোনে আলাপ করি। তিনি তাৎক্ষণিক গরিব এন্ড এতিম ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বাবলির চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নেন। সেই সাথে ট্রাস্টের প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে বাবলির চিকৎসার বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মাওলানা ছালেহ হামীদির বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের বরুনা গ্রামে। তিনি ইংল্যান্ডে প্রবাসী। তার ট্রাস্ট থেকে অসহায় মানুষদের বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।
তুহিন চৌধুরী আরও জানান,আমাদের ট্রাস্টের মূল লক্ষ্যই হলো সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অসহায় এতিমদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহযোগিতা করা। যা আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ ধারাবাহিকভাবে করে আসছি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত বিরল রোগে আক্রান্ত অসুস্থ বাবলির বিষয়টি জানতে পেরেছি।
অসুস্থ বাবলির বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করার জন্য তিনি সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান।
বাবলির মা খাতুন বেগম সারাবাংলাকে বলেন, বাবলির বয়স যখন দুই বছর তখন তার ডান পায়ে একটি ক্ষতচিহ্ন দেখতে পাই। টাকার অভাবে সেসময় বাবলির চিকিৎসা করাতে পারিনি। ধীরে ধীরে আক্রান্ত ডান পা অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যেতে থাকে। তখন স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেও বিরল এ রোগটি সনাক্ত করা যায়নি। ততদিনে বাবলির আক্রান্ত ডান অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ইকবাল হাসান সাংবাদিকদের জানান, এটি ফাইলেরিয়ার কম্লিকেশন এলিফেন্থিয়াসিস (গোদ রোগ) অথবা টিউমার জাতীয় গ্রোথ হতে পারে। মেয়েটিকে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল অথবা পিজি হাসপাতালে পাঠানো যেতে পারে।
সিলেট বিভাগের সাবেক স্বাস্থ্য পরিচালক ডাক্তার হরিপদ রায় সারাবাংলাকে জানান,আমি শিশুটির সংবাদটি পড়েছি এবং ছবিও দেখেছি। এই রোগের চিকিৎসা দেশেও সম্ভব তবে মাদ্রাজ নিয়ে গেলেতো আরো ভালো হয়। তবে তাকে পরিপূর্ণভাবে সুস্থ্য করে তুলতে হলে মিনিমাম চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।
মেয়েকে সুস্থ করে তুলতে সমাজের বিত্তশালী ও সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বাবলির মা।
সারাবাংলা/এনএইচ
আরও পড়ুন:
বাঁচতে চায় বাবলি