উত্তরপত্রে নয়-ছয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন আইডিয়াল কলেজ অধ্যক্ষ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:৩৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: উত্তরপত্র নয়-ছয়ের দায়ে ফেঁসে যাচ্ছেন রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম। ২০১৮ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রে ঘষামাজার প্রমাণ পাওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালককে আগামী সাত দিনের মধ্যে কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমের কাছ থেকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত আদেশে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, ‘আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিল, বনশ্রী ও মুগদা শাখায় ২০১৮ সালে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার খাতায় ঘষামাজা করা হয়েছে-এমন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নিয়ে তা আগামী সাতদিনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০১৮ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তিতে উত্তরপত্রে ঘষামাজা ও ইরেজার দিয়ে মুছে ফেলে ভুল উত্তর শুদ্ধ করে লেখা হয়। এভাবে ফেল করা শিক্ষার্থীদের পাস করানোর অভিযোগের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। ঢাকা জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে জমা হয় গত ৮ আগস্ট। তদন্ত প্রতিবেদনে ঘষা-মাজার প্রমাণ মিলেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগমের বিরুদ্ধে উত্তরপত্র ঘষামাজা ও ইরেজার দিয়ে মুছে সঠিক উত্তর লিখে পাস করানোর অভিযোগ ছিল। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আ. ছালাম খান, তার ভাই প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, হিসাব সহকারী দীপা এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. কবির হোসেন ও আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষকে এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানায়, উত্তরপত্রে ঘষামাজা করার বিষয়টি নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন অভিভাবক শ্যামলী শিমু।
তবে এ বিষয়ে আইডিয়াল কলেজ অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগমের সঙ্গে এ বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সারাবাংলা/এমএস/এমআই