‘কাল্পনিক’ মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:৩৬
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: সম্প্রতি সারাদেশে বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলাকে কাল্পনিক মামলা উল্লেখ করে মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের তিন আইনজীবী।
রিটকারী তিন আইনজীবী হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাহ উল্লাহ মিয়া।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
পরে রিটকারী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ঢালাওভাবে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করার উদ্দেশ্যে হচ্ছে বিরোধীদলকে চাপে রেখে বিরোধী নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মামলা সঠিক হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।’
ভবিষ্যতে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করে যেন হয়রানি না করা হয়, তার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। যারা এ ধরনের মামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে তিনি জানান।
এ রিটের শুনানিতে ড.কামাল হোসেনসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা অংশ নিতে পারেন বলেও জানান খন্দকার মাহবুব হোসেন।
চলতি মাসে বিভিন্ন পত্রিয়কায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে আবেদনকারী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত মানুষের বিরুদ্ধে ‘কাল্পনিক’ মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছের রিট আবেদনে।
এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে এ ধরনের মামলা দায়ের থেকে বিরত থাকতে এবং এ ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি (যার মধ্যে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধি রাখা) গঠনের নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে।
সারাবাংরা/এজেডকে/একে