Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উত্তরায় ৫১ লাখ টাকার জালনোট জব্দ, গ্রেফতার ৬


২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:১৭

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা : রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫১ লাখ টাকার জালনোট জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ। সেইসঙ্গে একাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার ও জাল নোট বিক্রির ২৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতার ছয়জন হলেন, আবুল হোসেন ইমন (৩৫), শেখ মামুন (৩২), ছগির হোসেন শাহীন (৪২), ইকবাল হোসেন (৩২), স্বপ্না (১৯) ও তৌকির আহমেদ সুজন (৩০)।

শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি উত্তর) সহকারি কমিশনার সুমন কান্তি চৌধুরী সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুমন কান্তি চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি উত্তর বিভাগের একটি দল তুরাগ থানার হাজী আব্দুল সালামের বাড়ির ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৫১ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ করা হয়। এছাড়া একটি ল্যাপটপ, দুইটি প্রিন্টার, ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের কালি, স্কিন বোর্ড ও জাল টাকায় ব্যবহৃত ফয়েল পেপার উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জাল নোট তৈরির মূল হোতা ইমন তুরাগের এই কারখানাটির মালিক। তার সহযোগীদের দিয়ে ঢাকা মহানগর ও তার আশপাশের এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকার ব্যবসা করে আসছিল। এদের মধ্যে তৌকির আহমেদ সুজন প্রিন্টের কাজে ব্যবহার করা কালি উচ্চ মূল্যে সরবরাহ করতেন। চক্রটি প্রতি মাসে প্রায় এক কোটি টাকা বাজারে ছাড়তেন। গত কয়েক মাসে প্রায় সাত কোটির মতো জাল টাকার নোট বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছে বলে জানান গ্রেফতাররা। যেসব উপকরণ জব্দ করা হয়েছে তা দিয়ে আরও প্রায় সাত কোটি টাকা ছাপানো যেতো বলে স্বীকার করেছে তারা।

গ্রেফতার ইমন জানান, ২০১৩ সালের দিকে কাউছার নামে এক ব্যক্তিকে জাল টাকা তৈরিতে সহযোগীতা করতেন তিনি। এরপর এক পর্যায়ে ইমন নিজেই জাল টাকা তৈরি শুরু করেন।

এটি বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জাল নোট উৎপাদনকারী চক্র বলে জানিয়েছেন সহকারি কমিশনার সুমন কান্তি চৌধুরী। তিনি জানান, বড় কোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে এই চক্রের সদস্যরা বাজারে জাল নোট সরবরাহ বেশি করে থাকে।

সহকারি কমিশনার আরও বলেন, সামনে দুর্গা পূজা ও নির্বাচনী পরিবেশ থাকায় চক্রটি জাল নোট বেশি বেশি ছাপিয়ে বাজারে সরবরাহের কাজ করছিল। ঢাকা ছাড়াও গাজীপুর, নরসিংদী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তারা জাল টাকা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করত।

কয়েকটি ধাপে এই জাল নোটগুলো বাজারে চলে যেতো। প্রথম ধাপে এক লাখ টাকা তৈরি করতে খরচ পড়ে ১০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ধাপে পাইকারী বিক্রেতার কাছে যেতো ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। পাইকারী বিক্রেতা খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রয় করত ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়। ‍খুচরা বিক্রেতা আবার দ্বিতীয় দফায় খুচরা বিক্রেতার কাছে তা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করত।

সারাবাংলা/ইউজে/এসএমএন

৫১ লাখ টাকার জালনোট উত্তরা জালনোট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর