হালদা রক্ষায় অভিযান, বালি তোলার ড্রেজার-জাল জব্দ
১ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:৩৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দক্ষিণ এশিয়ায় মিঠা পানির মাছের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে বালি উত্তোলন ও মা মাছ শিকার বন্ধে অভিযান শুরু করেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (০১ অক্টোবর) সকালে হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে দুটি বালি তোলার ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ৩০০ মিটার মশারি জালও জব্দ করা হয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন এই জোরদার অভিযান শুরু করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারাবাংলাকে জানান, হাটহাজারীর মেখল ইউনিয়নের উত্তরে ড্রেজার বসিয়ে বালি তোলা হচ্ছিল। অভিযানে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পেয়ে ড্রেজার দুটি বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। এসময় বালি তোলার সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে যায়।
এছাড়া হাটহাজারীর ছিপাতালী এলাকায় নদীতে পাতা মশারি জালও উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
‘মশার জালগুলো ভাটার সময় মাছের খাবার ও পাতা-ডালপালা জড়িয়ে তীরের কাছাকাছিতে বিছিয়ে দেওয়া হয়। মা মাছ যখন জোয়ারের সময় খাবার খেতে মশারির জালের কাছে আসে সেগুলো আটকা পড়ে। জোয়ারের পানি ভাটায় নেমে যাবার সময় মা মাছগুলো আর ফিরে যেতে পারে না। পরে সেগুলো ধরে বাজারে বিক্রি করা হয়।’ বলেন রুহুল আমিন
তিনি বলেন, ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলনের কারণে নদীর আকৃতি বদলে যাবার উপক্রম হয়েছে। এতে মা মাছের আবাস নষ্ট হচ্ছে। ভবিষ্যতে মা মাছ প্রজনন মৌসুমে হালদায় আসবে কি না সেই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। হাটহাজারী উপজেলায় কোনোভাবেই মাছ নিধন এবং বালি উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না।
হালদা নদীর বড় অংশ পড়েছে হাটহাজারীর পাশে রাউজান উপজেলায়ও, যেখানে মা মাছ প্রতিবছর গ্রীষ্মে এসে ডিম ছাড়ে। সেই ডিম আহরণ করে রেণু বের হয়। সেই রেণু থেকে মিঠা পানির বিভিন্ন মাছের পোনা উৎপাদন হয়।
গত ১৯ জুন থেকে হালদায় ভয়াবহ দূষণ শুরু হয়। এসময় হালদা এবং এর অববাহিকার বিলগুলোতে প্রচুর মাছ মরে ভেসে ওঠে। ঢলে ভেসে আসা শিল্পবর্জ্য মিশে হালদা নদীর এই দূষণ হয়েছে দাবি করে একে ‘স্মরণকালের ভয়াবহ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল হালদা রক্ষা কমিটি।
সারাবাংলা/আরডি/একে