Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল


৩ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:৩২

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে (নবম থেকে ১৩তম গ্রেড) কোনো কোটাই থাকছে না। এসব চাকরিতে সরাসরি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে আগের মতোই কোটা বহাল থাকবে।

বুধবার (৩ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম।  দুপুরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।

এর আগে, সরকারি চাকরির নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত কোনো কোটা না রেখে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশ জমা দেয়।

ওই কমিটির সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার পর আজ বুধবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে তোলা হয়। বৈঠকে ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার/বাতিলে’ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, কমিটির প্রতিবেদন মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। তিনটি সুপারিশ ছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, কোটা বাতিল এবং কোটা বাতিলের ফলে বিদ্যমান জনগোষ্ঠীর বিষয়ে যথাপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

মন্ত্রিসভা সচিব কমিটির তিনটি সুপারিশই অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে শফিউল বলেন, যদি কখনও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য কোটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে সরকার তা করতে পারবে।

বিজ্ঞাপন

তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির (১৪তম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড) নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি। সচিব বলেন, আজ-কালের মধ্যে আমরা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবো। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। আশা করছি, দুই-তিন দিনের মধ্যে (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে এটা কার্যকর হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩৮ ও ৪০তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা নির্দেশনা অনুযায়ী হবে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার চেয়ে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে শাহবাগে অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দিনভর অবস্থানে শাহবাগ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের হটিয়ে দিতে পুলিশ টিয়ারশেল ছুঁড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।

সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম/টিআর

আরও পড়ুন:

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা না রাখার সুপারিশ

তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনার পর কোটা সংস্কার কমিটির প্রতিবেদন
কোটা সংস্কার কমিটির তালিকা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে
কোটা সংস্কারে কমিটি, ১৫ দিনে প্রতিবেদন
কোটা আন্দোলনের দুই নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

Tags: 

কোটা বাতিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর