‘বিশ্বসভায় বাংলাদেশের ইমেজ আরও সুদৃঢ় হয়েছে’
৩ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:২৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দেওয়াসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে বিশ্বসভায় বাংলাদেশের ইমেজ আরও সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশের ইমেজকে আরও সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছি বলে আমি মনে করি। ছয় দিনের জাতিসংঘ সফরে ১৮টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে আমরা এবার বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরেছি।
বুধবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ৭৩তম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানসহ সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিভিন্ন অর্জন ও সফলতা তুলে ধরতে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর দুই পাশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়াসহ যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে সোমবার (১ অক্টোবর) সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিমের সংগঠনের পক্ষ থেকে গণভবনে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তার আগে, রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন লন্ডন পৌঁছান তিনি। সেখানে দু’দিন যাত্রাবিরতি শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেদিন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেন তিনি। এই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়া ছাড়াও তিনি বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি তিনি নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা, এস্তোানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইওয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সংবর্ধনা সভায়ও যোগ দেন। এছাড়া, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা ও বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য সমস্যা নিয়ে কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিসের (আইপিএস) সম্মানজনক ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে মানবিকতার উদাহরণ তৈরি করায় তাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়।
পাশাপাশি, দূরদৃষ্টির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার জন্য গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের পরিচালনা পর্ষদ তাকে ‘২০১৮ স্পেশাল রিকগনাইজেশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করে।
আরও পড়ুন-
আমি ইভিএমের পক্ষে: প্রধানমন্ত্রী
‘লাগলে বলুক, আন্দোলন ছাড়া কোটা দেবো না’
সবাই উইশ করেছে, আমি যেন আবার ফিরে আসি: প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচনে আসা না আসা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: প্রধানমন্ত্রী
‘সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন বুঝলাম, কিন্তু আমাদের উদ্বেগটা কে দেখবে’
‘দেশের ভোট দু’রকম, আওয়ামী লীগ আর অ্যান্টি আওয়ামী লীগ’
‘কারও সহযোগিতা দরকার হলে আমার ক্ষমতায় না থাকাই ভালো’
‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোংরামি ঠেকাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শেখ হাসিনা