Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কারও সহযোগিতা দরকার হলে আমার ক্ষমতায় না থাকাই ভালো’


৩ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:১৫

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: জনগণ চাইলে ক্ষমতায় থাকবেন, না চাইলে থাকবেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কারও মুখাপেক্ষী হয়ে রাজনীতি করি না। যদি বলেন, কারও সহযোগিতা নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে হবে, তাহলে আমি বলব— আমার ক্ষমতায় না থাকাই ভালো।

জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে দেশে ফিরে ওই অধিবেশনসহ যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক বলেন, বিরোধী দলীয় একজন নেতা বলেছেন যে আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করতে তারা প্রয়োজনে শয়তানের সঙ্গেও ঐক্য করবে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাও এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারত যেন আওয়ামী লীগকে সমর্থন না দেয়, সে কথা তিনি ভারতকে বলেছেন।

এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল থাকবেই। কিন্তু যারা শয়তানের সহযোগিতা চায় তারা নিজেরা কী, তা তো আপনারা নিজেরাই জানেন। যারা শয়তানের সঙ্গে হাত মেলাবে, তাদের সমর্থন দিতে দেশবাসী প্রস্তুত কি না, সেটাও দেখতে হবে। নিশ্চয়ই এই দেশর মানুষ শয়তান চায় না। এটা হলো বাস্তব কথা। আমি এটা নিয়ে কোনো কমেন্ট করতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রথম একজন সংখ্যালঘু থেকে তাকে আমরা প্রধান বিচারপতি বানিয়েছিলাম। তিনি সেই পদটিকে সেভাবে সম্মানজনকভাবে ধরে রাখতে পারেননি। এখানে কিন্তু আমাদের কিছু করার ছিল না। কারণ আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, তারই সহকর্মীরা তার নামে অভিযোগ পেশ করেন এবং তার সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। সমস্যা কিন্তু ওখান থেকেই তৈরি। এখানে কিন্তু আমরা কিছু করিনি। এখন যে কথাগুলো উনি বলছেন, এখানে আমার কমেন্ট করার কিছু নেই। আমি আগেই বলেছি, তাই আমি কমেন্ট করতে চাই না। শেষ পর্যন্ত কী করেন, আমি দেখি। আমি বিষয়টা অবজার্ভ করছি, এটুকু আমি বলতে পারি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আর বই যেটা লিখেছেন, বই পড়েন আপনারা? আমার কোনো আপত্তি নাই, পড়ে দেখেন কী লিখেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, কথা হচ্ছে, আমরা কারও মুখাপেক্ষী হয়ে রাজনীতি করি না। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে উনি অনুরোধ করেছেন আমাকে সমর্থন না দিতে। এই রকম তিনি কেন, সবাই করেছে। এই যে বিএনপি যাচ্ছে (ভারতে), সবাই যাচ্ছে (ভারতে), গিয়ে অনুরোধ করে আসছে। এখন কে সমর্থন করবে, আর কে সমর্থন করবে না বা বাইরের দিকে মুখাপেক্ষী হয়ে আমার রাজনীতি না। আমি মনে করি, আমার জোর হচ্ছে আমার দেশের জনগণ। আমার জনগণের সমর্থন আছে কি না, জনগণ আমাকে চায় কি না, জনগণ আমাকে ভোট দেবে কি না, সেটাই বিবেচ্য বিষয় আমার কাছে।

এসময় ২০০১ সালে আমেরিকাকে গ্যাস দেওয়ার গোপন চুক্তিতে সম্মতি না দেওয়ার কারণে সরকার গঠন করতে না পারার দিকটি তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমার ওরকম কারও সহযোগিতা নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে হবে কি হবে না— সে প্রশ্ন যদি করেন আমি বলব, আমার ক্ষমতায় না থাকাই ভালো। আর দরকার নাই ক্ষমতার। আমার দেশের মানুষের শক্তিটা হচ্ছে আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই শক্তি যদি না থাকে, আর দেশের মানুষ যদি না চায়, কে আমাকে ক্ষমতায় এনে বসাবে? ওই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজনীতি আমি করি না।

আরও পড়ুন-

আমি ইভিএমের পক্ষে: প্রধানমন্ত্রী

‘লাগলে বলুক, আন্দোলন ছাড়া কোটা দেবো না’

‘বিশ্বসভায় বাংলাদেশের ইমেজ আরও সুদৃঢ় হয়েছে’

সবাই উইশ করেছে, আমি যেন আবার ফিরে আসি: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে আসা না আসা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: প্রধানমন্ত্রী

‘সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন বুঝলাম, কিন্তু আমাদের উদ্বেগটা কে দেখবে’

‘দেশের ভোট দু’রকম, আওয়ামী লীগ আর অ্যান্টি আওয়ামী লীগ’

বিজ্ঞাপন

‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোংরামি ঠেকাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’

সারাবাংলা/এটি/টিআর

প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর