নাশকতা ঠেকানোর জোর প্রস্তুতি চট্টগ্রাম পুলিশের
৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:৪৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার রায়ের পর চট্টগ্রামে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা মাঠে নাশকতা কিংবা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা নগর ও জেলা পুলিশের।
নাশকতা ঠেকানোর জোর প্রস্তুতি নিয়ে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে নগর ও জেলা পুলিশের একাধিক টিম।
রায়কে ঘিরে প্রায় তিন হাজার পুলিশ সদস্য নগরী ও জেলায় মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন সিএমপি ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
১৪ বছর আগে সংঘটিত এই নৃশংস ঘটনার রায়ের তারিখ নির্ধারিত আছে বুধবার (১০ অক্টোবর)। এই রায়কে ঘিরে মূলত মঙ্গলবার থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে নেমে গেছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম সারাবাংলাকে বলেন, ‘রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক দল মাঠে নেমে বড় ধরনের কোনো নাশকতা কিংবা সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবে বলে আমাদের মনে হয় না। আমরা মাঠে আছি। সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, অফিস-আদালত, জনসমাগম বেশি হয়, এমন স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম নগরীর ১৬ থানার নিয়মিত ফোর্স ছাড়াও দেড় হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন নগর পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারি কমিশনার কাজেমুর রশীদ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
‘রাস্তায় চেকপোস্ট আছে। আমরা সর্বোচ্চ অ্যালার্ট আছি। কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না’ বলেন ওসি।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করেছে জেলা পুলিশ। বিভিন্ন থানায় দায়িত্বরত ২ হাজার ৮০০ পুলিশ সদস্যকে সার্বক্ষণিকভাবে মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।
পুলিশ সুপার সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত ২ হাজার ৮০০ ফোর্স আছে। আরও দেড় হাজার অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ ব্যবহার করা হবে। মহাসড়ক এবং সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ জোর দিচ্ছি।’
মঙ্গলবার থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রায় গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন কয়েকশ নেতাকর্মী।
সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান আজকের প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সারাবাংলা/আরডি/একে