চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুলের রিমান্ড স্থগিত
৯ অক্টোবর ২০১৮ ২০:১০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ স্থগিত করেছেন চট্টগ্রামের আদালত। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
মঙ্গলবার (০৯ অক্টোবর) বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন মাইদুল ইসলাম।
বিকেলে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ স্থগিত করার জন্য চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম কামরুন্নাহার রুমির আদালতে আবেদন করেন মাইদুলের আইনজীবীরা। আদালত আবেদন গ্রহণ করে রিমান্ড স্থগিতের আদেশ দেন।
মাইদুল ইসলামের আইনজীবী ভুলন লাল ভৌমিক সারাবাংলাকে বলেন, হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর নিম্ন আদালতের আদেশে রিমান্ডে নেওয়ার কোন বিধান নেই। আমরা বিষয়টি উল্লেখ করে আদালতে আবেদন করেছি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তির অভিযোগে গত ২৩ জুলাই চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় বিরুদ্ধে মামলাটি করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম।
মামলা দায়েরের পর হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জামিন নেন মাইদুল। ওই জামিনের মেয়াদ শেষে ২৪ সেপ্টেম্বর মাইদুল চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো.ইসমাইল হোসেনের আদালতে আত্মসর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারেপাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাবার পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর এই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
থানায় মামলা দায়েরের আগে মাইদুল ইসলামসহ দুজন শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিল ছাত্রলীগ। হুমকির মুখে দুই শিক্ষক ক্যাম্পাসে যাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এমনকি মাইদুল ইসলাম চবি ক্যাম্পাসের বাসাও ছাড়তেবাধ্য হয়েছিলেন।
এর আগে গত ১৭ জুলাই সমাজতত্ত্ব বিভাগের মাইদুল ইসলাম এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খ. আলী আর রাজীকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু।
শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বাদি ইফতেখারুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি আলমগীর টিপুর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
সারাবাংলা/আরডি/একে