বিশ্ব গণমাধ্যমে গুরুত্ব পাচ্ছে গ্রেনেড হামলা মামলার রায়
১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:৪২
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো নারকীয় গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবারের (১০ অক্টোবর) এই রায়ে ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক দুই মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়া, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পেয়েছেন বাকি ১১ আসামি।
বিচারিক আদালতের দেওয়া এই রায়, আল-জাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি, এবিসি নিউজ, সিনহুয়া, দ্য হিন্দুসহ বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, ১৪ বছর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে চালানো সেই গ্রেনেড হামলায় দলটির নেতাকর্মীসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আল-জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে স্থান পেয়েছে প্রথম পাতায় । সেখানে বলা হয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর চালানো গ্রেনেড হামলার রায়ে দুজন সাবেক মন্ত্রীসহ মোট ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, কারাবন্দি থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে নির্বাসিত রয়েছেন। রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়।
রয়টার্সে জানায়, রায়ে সন্তুষ্ট নন সরকারের দলের আইনজীবীরা। তারা তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলেন। তাই উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা ভাবছেন। সরকার দলের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলকে উদ্ধৃতি করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আমরা জড়িত সবার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলাম। বিশেষ করে তারেক রহমানের।
বিবিসির নাতিদীর্ঘ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধী দল বিএনপি দাবি করছে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মামলাটিতে তারা প্রতিহিংসার হচ্ছে। রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করার জন্যই বিএনপির নেতাদের অভিযুক্ত করা হয়।
দ্য হিন্দুর সংবাদে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ-আল-ইসলাম (হুজি) এই গ্রেনেড হামলার আয়োজন করে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
বহুল প্রচারিত সিনহুয়া ও আশানি শিম্বুন পত্রিকার পৃথক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ রায় দেন বিচারক। রায়ে দেওয়ার সময় দুই বার বৈদ্যুতিক গোলযোগ ঘটে। রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেন, আল্লাহ সব জানেন। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই। দোষীরা উচ্চ আদালতে আপলি করার জন্য ৩০ দিন সময় পাবেন।
এদিকে, কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্ত করে জানা যায় শেখ হাসিনাকে খুনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড এসেছিল পাকিস্তান থেকে। ওই ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ অনেক নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: জজ মিয়া নয়— ‘জালাল’, দুর্ধর্ষ নামের আড়ালে হারায় যে নাম
সারাবাংলা/এনএইচ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তারেক রহমান বহুল প্রকাশিত সংবাদ বিএনপি