Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২ মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ ১ নভেম্বর


১১ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:৩৪

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ তৈরির অভিযোগের দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে কি না, সে বিষয়ে আদেশের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ তৈরির অভিযোগের দুইটি মামলায় আদেশের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর তা পিছিয়ে নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলার ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর এ বি সিদ্দিকী মামলা দায়ের করেন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি) শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে।’

মামলায় আরও বলা হয়, খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদও তৈরি করেছে।

মামলাটিতে গত ৩০ জুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে প্রকাশ্যে তার বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার জনগণ ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বা ঘৃণার ভাব তৈরি উদ্যোগ নেন। একইসঙ্গে তিনি নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কঠোর আঘাত আনার অভিপ্রায় ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষাত্মকভাবে ধর্ম ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করেছেন।

এরপর গত ২৩ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন এ বি সিদ্দিকী।

অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে খালেদা জিয়ার ‍বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেন এ বি সিদ্দিকী। এ মামলাতেও তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। ২০১৮ সালের ৩০ জুন অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। এরপর গত ১৬ জুলাই খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করতে পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী এ বি সিদ্দিকী।

এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা না চেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব চেয়েছিলেন। জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে কোনো উন্নতি হয়নি; সাাদেশে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া তার বক্তব্যের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সমালোচনা ও মানহানীকর বক্তব্য দিয়ে জনগণের সামনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রয়াস চালিয়েছেন।

আরও পড়ুন-

জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত

সারাবাংলা/এআই/টিআর

খালেদা জিয়া


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর