এবার ওয়াকিটকি চায় ইসি, বাজেট ২ হাজার কোটি টাকা
১৩ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:৩২
।। গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পর এবার ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর জন্য সরকারের কাছে অতিরিক্ত ২ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (১০ অক্টোবর) ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সই করা এক চিঠিতে অর্থ সচিব (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রউফ তালুকদার কাছে এই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার ( ১৩ অক্টোবর) দুপুরে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরে অর্থ সচিবকে পাঠানো চিঠির একটি কপি সারাবাংলার কাছে রয়েছে জানালে ইসি সচিব বলেন, ‘কপি থাকলে লিখেন, আমাকে কেন ফোন দিয়েছেন? আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। কাগজপত্র না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না ’
অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পাশাপাশি স্যাটেলাইট ফোন বা ডিজিটাল মোবাইল রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম (ওয়াকিটকি) ব্যবহার করতে চায় ইসি। এই দুই পদ্ধতি ব্যবহার করতে হলে ইসির আরও দুই হাজার ৫২ কোটি টাকা প্রয়োজন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতায় ‘ইউজ অব ডিজিটাল মোবাইল রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেমস (ওয়াকিটকি) ইন ইলেকশন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লে করে চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা কমিশন এরই মধ্যে প্রকল্পটিতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটির জন্য চীন সরকারের ৫৩ কোটি টাকা অনুদান পেতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে ঢাকায় চীনা দূতাবাসে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) আওতায় নির্বাচন কমিশনের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক হাজার ১৪৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সিলিং ঠিক করা হয়েছে। ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমিতসংখ্যক আসনে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ করতে ইভিএম ও ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ২ হাজার ৫২ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রয়োজন।
এর আগে, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ও ভোটগণনায় স্বচ্ছতা আনতে গত ৩০ আগস্ট ইসির কমিশন সভায় জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে সংশোধনী আনে ইসি। পরে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়। পরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কেনার প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর