জেল হাজতে অসুস্থ, হাসপাতালে ‘মাদক ব্যবসায়ী’র মৃত্যু
১৪ অক্টোবর ২০১৮ ১০:১৪
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
বরগুনা : বরগুনায় মাদক মামলায় কারাবন্দি আরিফ মৃধা (৩৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্য সাড়ে ৬ টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরিফ বুড়ির চর ইউনিয়নের বড় লবনগোলা গ্রামের রশীদ মৃধার ছেলে। স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশের মারধরের কারণে তার মৃত্যুর হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ২ অক্টোবর লবনগোলা থেকে ১০০ ইয়াবাসহ আরিফ মৃধা ও তা মা কুলসুমকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই ঘটনায় বরগুনা থানায় একটি মামলা হয় এবং দুজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
বরগুনা জেলখানার জেলার এজি মাহমুদ জানান, শনিবার দুপুর ২টার দিকে আরিফের স্বজনরা দেখা করতে আসেন। তারা দেখা করে যাওয়ার পরপরই সাড়ে তিনটার দিকে আরিফের বমি শুরু হয়। চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধার পরপর তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে আরিফের স্বজনদের অভিযোগ, গ্রেফতারের পর তাকে মারধর করেছে পুলিশ। যে কারণে আরিফ জেল হাজতে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
আরিফের বাবা রশীদ মৃধার অভিযোগ, ডিবি পুলিশ তাঁর ছেলেকে গ্রেফতারের সময় ও পরে কার্যালয়ে নিয়ে আসার পর মারধর করেছে। এ কারনেই কারাগারে অসুস্থ হয়ে পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শাকিল জানান, নিহত আরিফের উচ্চ রক্তচাপ ছিল। এ ছাড়াও তার লিভারের সমস্যা ছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে রেফার করেছিলেন। এছাড়া লিভারের সমস্যার কারনে তার শরীর কিছুটা ফুলে উঠলেও সেখানে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিলনা।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আরিফ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। তাকে গ্রেফতারে সময় সে পুলিশের ধাওয়ার এক পর্যায়ে খালে লাফিয়ে পড়ে। পরে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
কার্যালয়ে আনার পথে বা কার্যালয়ে কোথা তাকে শারীরিক আঘাত করা হয়নি। বিষয়টি নিছক গুজব বলে জানান ওসি।
এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান।
সারাবাংলা/এসএমএন