Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে জিম্মি করে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২


১৪ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:৪৪

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কৌশলে জিম্মি করে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক ও তাকে সহায়তার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) গভীর রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায়ে গ্রেফতার হওয়া নারীর বাসায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা পরিবারে জানাজানির পর শনিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।

গ্রেফতার হওয়া দুজন হলেন- মো. শামীম (২৯) ও সানজিদা চৌধুরী (২২)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শামীমের বাসা নগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা এলাকায়।

সানজিদার বাসা পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী ফইল্যাতলী কলেজ রোডে সেলিম সাহেবের ভবনের পঞ্চম তলায়। কাছাকাছি এলাকায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাসা এবং স্থানীয় একটি স্কুলে ১৫ বছর বয়সী মেয়েটি পড়ালেখা করে। তার বাবা প্রবাসী। মা ও ছোট বোন থাকে বাসায়।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ সারাবাংলাকে জানান, সানজিদা এবং ধর্ষিতা ছাত্রীর পরিবার আগে একই ভবনে থাকত। তিন মাস আগে তারা অন্যত্র বাসা ভাড়া নেয়। ওই ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে সানজিদার পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে।

বৃহস্পতিবার সানজিদা বিয়ের দাওয়াতে যাবার কথা বলে ওই ছাত্রীর মাকে রাজি করিয়ে তাকে সঙ্গে নেয়। যাবার সময় পথে হঠাৎ অসুস্থবোধ করার কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে আবার বাসায় ফিরে আসে সানজিদা।

এসময় শামীমকে ফোন করে বিরিয়ানি নিয়ে বাসায় আসার কথা বলে। শামীম রাত ১০টার দিকে বিরিয়ানি নিয়ে বাসায় আসে। তিনজন মিলে খাওয়া-দাওয়া করে। মেয়েটি যখন তার বাসায় ফিরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন শামীম তাকে জোরপূর্বক একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় আরেকটি কক্ষে সানজিদা ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ওসি বলেন, ‘সানজিদা ও শামীম পূর্বপরিচিত। টাকার বিনিময়ে সানজিদা শামীমকে মেয়েটিকে ধর্ষণের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। গ্রেফতারের পর সানজিদা প্রথমে বলেছিল, শামীম ধর্ষণের আগে তাকে আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারে, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে শামীম পালিয়েছে। আসলে সানজিদার এই বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা।’

ধর্ষণের শিকার ছাত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে- ধর্ষণের পর শামীম ও সানজিদা মিলে তাকে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়। এমনকি তাকে সারারাত ওই বাসায় আটকে রাখা হয়। পরদিন (১২ সেপ্টেম্বর) বাসায় ফিরে ওই ছাত্রী।

বাসায় ফিরে মায়ের কাছে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত বলার পর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করে শনিবার রাতে মেয়েটি তার মাকে নিয়ে থানায় যায় বলে জানান ওসি।

অভিযোগ পাবার পর সানজিদাকে তার বাসা থেকে এবং শামীমকে ঝাউতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং গ্রেফতার হওয়া দুজনকে আদালতে হাজিরের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ

চট্টগ্রাম ধর্ষণ মামলা স্কুলছাত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর