Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘২০২১ সালের মধ্যে প্রতি ৫০ জনে একটি বিশুদ্ধ পানির উৎস’


১৫ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৩১

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: বর্তমানে দেশে প্রতি ৮৭ জনের জন্য একটি করে বিশুদ্ধ পানির উৎস আছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতি ৫০ জন মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশুদ্ধ পানির উৎসের ব্যবস্থা করা হবে।

সোমবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০১৮-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ স্যানিটেশোন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমানে দেশে খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগের হার মাত্র এক শতাংশ, যা আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রায় ৩০ শতাংশ। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশে প্রায় ৩ লাখ টিউবওয়েল, ১ হাজার ১৬৬টি উৎপাদক নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও নিরাপদ পানির উৎসবিহীন ৩৬ হাজার ১৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিউবওয়েল ও ২৬ হাজার ৮০৯টি ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়েছে।

২০২১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সুস্বাস্থ্য অপরিহার্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। আর তা করতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন অপরিহার্য।

স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনে হাত ধোয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শুধু ডায়েরিয়া ও নিউমনিয়ার কারণে প্রতিবছর সারাবিশ্বে ১৮ লাখ শিশু মারা যাচ্ছে। অথচ কেবল হাত ধোয়ার অভ্যাস থাকলেই প্রতি ৩টি শিশুর মধ্যে একটিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ থেকে রক্ষা করা যায়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের ও বাংলাদেশে ইউনিসেফের সহকারী প্রতিনিধি সিমা সেনগুপ্ত।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে সিমা সেনগুপ্ত বলেন, যদিও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস একদিনের, তবে এটি একটি বছরব্যাপী প্রচারণা, যেন সবাই তা মেনে চলতে পারে এবং রোগমুক্ত থাকতে পারে। শুধু নিজে হাত ধুলে হবে না, সকলের মধ্যে এর প্রচারও করতে হবে। নির্দিষ্ট কিছু সময় যেমন— খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, শিশুদের ধরার আগে হাত ধুতে হবে এবং হাত ধোয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি শিশুর বেঁচে থাকার এবং জীবনে উন্নতি করার সুযোগ আছে। আমরা ইউনিসেফ থেকে শিশুদের এই সহায়তাটুকু করতে চাই।

এর আগে, বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উদ্বোধন করা হয়। ছায়ানটের শিশুশিল্পীরা হাত ধোয়া দিবসের থিম সং গেয়ে শোনায়। অনুষ্ঠানের শেষে শতাধিক ছেলেমেয়ে একসঙ্গে হাত ধুয়ে হাত ধোয়ার বিষয়টিতে সবাইকে সচেতন করে।

সারাবাংলা/এমএ/টিআর

বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস