Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গা সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশ ক্ষুধা সূচকে এগিয়ে


১৬ অক্টোবর ২০১৮ ২০:৪৪

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ ক্ষুধার সূচকে ৮৬তম স্থানে আছে। যা ভারত ও পাকিস্তান থেকে এগিয়ে। আমরা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার দায় নিয়েছি, এটা যদি না নিতে হতো তবে আমাদের অবস্থান আরও উপরে থাকতে পারত।

মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিশ্ব খাদ্য দিবস ও খাদ্য মেলার উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, এ বছর বাংলাদেশে কৃষিপণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭০ মিলিয়ন ডলার অথচ আমরা ২৯০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ পণ্য রফতানি করেছি।

এ ছাড়া কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও রফতানি উপযোগী করার জন্য তিনি কৃষি গবেষকদের ধন্যবাদ দেন তিনি।

‘কর্মই গড়ে ভবিষ্যত, কর্মেই গড়বে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব’ প্রতিপাদ্যে প্রতি বছরের মতো এ বছরও কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা (এফএও)-এর উদ্যোগে এ বছরের খাদ্য দিবস ও খাদ্য মেলার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন, পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ণ লক্ষ্যমাত্রার ২১টির মধ্যে ১৮টি অর্জন করতে পেরেছি তবে যেগুলো পারিনি সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুধা, অপুষ্টি, খর্বাকৃতি। আমাদের লক্ষ্য এর থেকে মুক্ত হওয়া। আমরা চাল বেশি খাচ্ছি কিন্তু ডাল, তেল, আমিষ এমনকি চিনিও আমরা যা প্রয়োজন তার থেকে কম খাচ্ছি। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরি। তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ একটি খাদ্য ঘাটতির দেশ। ব্রিটিশ আমলে এবং পাকিস্তান আমলে পাওয়া বিভিন্ন প্রকল্প দেখে তা জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের কৃষিতে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন—কৃষিকে সক্ষম করতে হবে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে। তিনি কৃষিবিদদের ট্রাস্ট ফান্ড দিয়েছিলেন, জাতীয় কৃষি পুরষ্কার ঘোষণা করেছিলেন।

বর্তমান সরকারের আমলে কৃষির প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছর ধরে কৃষিখাতে সমর্থন বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পেয়ে চাল উৎপাদনে বাংলাদেশের স্থান চতুর্থ। গত কোরবানির ঈদে আমাদের গরু আমদানি করতে হয়নি।

খাদ্যের জন্য বাংলাদেশকে যেন আর কখনো হাত না পাততে হয় এটাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য, বলেন মতিয়া চৌধুরি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএআরসির চেয়ারম্যান কবীর একরামুল হক, এফএও-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট টি সিম্পসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজমা শাহীন।

সারাবাংলা/এমএ/এমআই

কৃষিমন্ত্রী ক্ষুধার সূচক বাণিজ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর