এএসপি মিজান হত্যা মামলার প্রতিবেদন ১৫ নভেম্বর
১৭ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:২৮
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: হাইওয়ে রেঞ্জের সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদার হত্যা মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ১৫ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছে আদালত।
বুধবার (১৭ অক্টোবর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম) ইনস্পেক্টর সিরাজুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ঠিক করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে যানা যায়, পুলিশের দাবি এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারকে চার ছিনতাইকারী মিলে হত্যা করে। আসামি ‘মিন্টু, কামাল ওরফে ফারুক, জাকির ও শাহ আলম ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে গত ২১ জুন ফজরের নামাজের আজানের পর উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরে একটি মসজিদের পাশে প্রাইভেট কারে যাত্রীবেশে বসে ছিল। এএসপি মিজানুর রহমান সে সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন ছিনতাইকারীরা তাকে গাড়িতে তুলে নেন।
পরে মিজানুর গাড়িতে ওঠার পর ফারুক বুঝতে পারে মিজানুর সরকারি সংস্থার লোক। এ অবস্থায় তারা গাড়িতে জোরে গান ছেড়ে ও লাইট বন্ধ করে গাড়ি চালিয়ে যায়। জসীম উদ্দিন রোড হয়ে প্রথমে হাউজ বিল্ডিং ও পরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের দিকে যায়। গাড়ির পেছনের সিটে বসা মিন্টু একপর্যায়ে এএসপি মিজানের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পেছনের সিটে বসা আরও দুজন ফারুক ও মিন্টু এএসপি মিজানের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিল। একজন গাড়িতে থাকা ঝুট কাপড়ের ফিতা দিয়ে মিজানুরের গলা পেঁচিয়ে ধরে থাকে। কিছুক্ষণ পর মিজানুর নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং তার সাড়া-শব্দ না পেয়ে ছিনতাইকারীরা ভয় পেয়ে যায়। পুলিশের ভয়ে তারা ১০ নম্বর সেক্টর থেকে গলি পথ ধরে বেড়িবাঁধ এলাকায় মিজানের লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
গত ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর থানার মিরপুর বেড়িবাঁধের রাস্তার পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই দিন রাতেই নিহতের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। রুপনগর থানার মামলা নাম্বর -১৯(৬)১৭।
সারাবাংলা/এআই/এমআই