খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ৮ বছরের সাজা
১৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৪৪
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর দায়ের করা জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশিদের ভিন্ন দুই ধারায় ৮ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এইই সঙ্গে আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আসামিকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাগারে থাকতে হবে।
অপর আরেক ধারায় ২০০৪ এর ২৭(১) পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে। আসামির বিরুদ্ধে উভয় ধারার দণ্ড পৃথক পৃথকভাবে চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। আর আসামি কর্তৃক দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৮ টাকার সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখিত মূল্যেও ভিত্তিতে রাষ্ট্র অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বিষয়টা সারাবাংলাকে জানান।
এ দিকে দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মীর আহমেদ আলী সালাম এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুর রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৮ সালের ৩ মার্চ মামুনুর রশিদের বৈধ আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তি রয়েছে এর প্রেক্ষিতে তার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে অর্জিত সম্পদ ও সম্পত্তির বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেন দুদক। মামুনুর রশিদ ২৩ মার্চ নিজের ও পোষ্যদের নামে (স্ত্রীর অংশ বাদ দিয়ে) ৩৭ লাখ ৫০ হাজার ১১২ টাকার স্থাবর ও ৪ লাখ ৭ হাজার ৫০১ অস্থাবর সর্বমোট ৪১ লাখ ৫৭ হাজার ৬১৩ টাকার সম্পদ প্রদর্শন করেন। দুদকের অনুসন্ধানে মামুনুর রশিদ তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৬২ হাজার টাকার সম্পদ গোপন করাসহ ১১ কোটি ৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৭৫ টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎস বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখেন।
ওই ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন শরীফ রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল জাহেদ মামলাটি তদন্ত চার্জশিট দাখিল করেন।
সারাবাংলা/এআই/এমআই