Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জেলা সদরে শিশু আদালত, সংসদে শিশু বিল পাস


২৩ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৫১

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বিদ্যমান আইনের কিছু প্রায়োগিক সমস্যা নিরসনে কয়েকটি ধারায় সংশোধন এনে এবং প্রতিটি জেলা সদরে শিশু আদালত স্থাপনের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে শিশু (সংশোধন) বিল, ২০১৮।

সোমবার (২২ অক্টোবর) সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাব নাকচ হয়। এর আগে, সোমবার বিকেলে চলতি দশম জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ২-এর দফা ১৬-এর পর ১৬ক দফা যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেট অর্থ ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৬-এর উপ-ধারা ৩০-এ উল্লেখিত জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, যার অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। বিলে একই ধারার দফা ১৮-এর পরিবর্তে নতুন ১৮ দফা প্রতিস্থাপন করা হয়।

বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ১৫-এর পরিবর্তে নতুন ১৫ ধারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। নতুন ধারায় পুলিশ রিপোর্ট বা অনুসন্ধান প্রতিবেদন অথবা তদন্ত প্রতিবেদন পৃথকভাবে প্রস্তুত বা আমলে গ্রহণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়। বিলে নতুন ১৫ক ধারা সন্নিবেশ করা হয়। এ ধারায় মামলা বিচারের জন্য প্রেরণ বা স্থানান্তর সংক্রান্ত বিধান সংযোজন করা হয়।

বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ১৬-এর পরিবর্তে নতুন ১৬ ধারা প্রতিস্থাপনের বিধান করা হয়। এ ধারায় শিশু কর্তৃক সংঘটিত যেকোনো অপরাধের বিচারের জন্য প্রতিটি জেলা সদরে শিশু আদালত নামে এক বা একাধিক আদালত স্থাপনের বিধান করা হয়। এ ক্ষেত্রে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীন গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নিজ অধিক্ষেত্রে শিশু আদালত হিসেবে গণ্য করার বিধান করা হয়। তবে কোনো জেলায় এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল না থাকলে ওই জেলার জেলা ও দায়রা জজ নিজ অধিক্ষেত্রে শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে।

বিজ্ঞাপন

বিলে শিশু আদালতের ক্ষমতা শীর্ষক বিদ্যমান ১৮ ধারার পরিবর্তে নতুন ১৮ ধারা প্রতিস্থাপন করা হয়। নতুন ধারায় বলা হয়, দায়রা আদালত যেসব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কাজ সম্পাদন করতে পারেন, শিশু আদালতও সেসব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।

এছাড়া, বিলে বিদ্যমান আইনের আরও বেশ কটি ধারায় সংশোধন করা হয়।

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, নূরুল ইসলাম ওমর, রুস্তম আরী ফরাজী, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লিয়াকত হোসেন খোকা, ডা. মো. আককাছ আলী সরকার, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ, বেগম রওশন আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

জাতীয় সংসদ শিশু বিল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর