ন্যায় বিচার পাইনি : শ্যামল কান্তি ভক্ত
২৩ অক্টোবর ২০১৮ ২২:২৮
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস ও লাঞ্ছনার মামলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান অব্যাহতি পেয়েছেন। আর এতে হতাশ ঘটনার শিকার শিক্ষক শ্যামল কান্তি।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমের কাছে নিজের হতাশা প্রকাশ করে শ্যামল কান্তি বলেন, তিনি ন্যায় বিচার পাননি।
এর আগে সকালে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সরকারের দায়ের করা মামলায় জাতীয় পার্টির স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে অব্যাহতি দেন ঢাকার একটি আদালত। এ মামলার অপর আসামি অপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম এ কে এম ইমদাদুল হক এসব আদেশ দেন।
অব্যহতির বিষয়টি জানার পর নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত জানান, সরকারের কাছে তিনি সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু মামলাটি আমি করিনি। তাই এই মামলা সম্পর্কে আমার কোন ধারণাও নেই। আমি কখনো আদালতেও যাইনি। একজন প্রধান শিক্ষককে এভাবে প্রকাশ্যে নির্যাতন ও অপমান করায় সরকার আমার পক্ষ হয়ে মামলা করেছিল। তবে আমি ন্যায়বিচার পাইনি।’
উল্লেখ্য, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ২০১৬ সালের ১৩ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। পরে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরে পুলিশ বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
এ ঘটনায় সেলিম ওসমান জড়িত কি না, সে বিষয়ে পরে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে হাইকোর্ট প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠান। ১৪ মে সেলিম ওসমান এই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
আরো পড়ুন : শিক্ষক লাঞ্ছনার মামলায় সেলিম ওসমানকে অব্যাহতি
সারাবাংলা/এসএমএন