সাত ঘণ্টা ভোগান্তির পর চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
২৫ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:২১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পরিবহন শ্রমিকদের আকস্মিক ডাকা ধর্মঘটে প্রায় সাত ঘণ্টা ভোগান্তির শিকার হয়েছে দুই পার্বত্য জেলাসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষ। ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বাস চালককে দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরুর পর জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুপুর ১টার দিকে তা প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে।
পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘যে চালককে অন্যায়ভাবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তার জামিনের ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দরখাস্ত করতে বলা হয়েছিল। আমরা দরখাস্ত জমা দিয়েছি। রোববার এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলার পর আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
বুধবার (২৪ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইটে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের তল্লাশি চলছিল। এসময় একটি বাসকে থামানোর সংকেত দেওয়ার পর সেটি তা অমান্য করে দ্রুত চালিয়ে নিয়ে যায়। পরে সেটিকে ধাওয়া দিয়ে ধরে চালক দিদারুল আলমকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।
এর প্রতিবাদে বুধবার গভীর রাত থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি রুটে বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় ফেডারেশন। ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে চট্টগ্রাম থেকে রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলায় এবং রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় গণপরিবহন চলাচল দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল।
গভীর রাতে ঘোষিত ধর্মঘটের খবর সকালে গাড়ির জন্য অপেক্ষারত সাধারণ মানুষ জানতে পারে। হঠাৎ এই ধর্মঘটে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় সবাইকে। চট্টগ্রাম নগরী থেকে গাড়ি না ছাড়ায় শত, শত মানুষ কর্মস্থলে যেতে পারেননি। একইভাবে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি এবং আশপাশের চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও লোকজন নগরীতে আসতে পারেননি।
ধর্মঘটের মধ্যে ছোট ছোট যানবাহন চলাচলেও বাধা দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
সারাবাংলা/আরডি