Monday 18 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে না পারলে ধ্বংসাত্মক রূপ নিতে পারে আবহাওয়া


২৭ অক্টোবর ২০১৮ ২১:১০

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: মানুষ যদি জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারে, তাহলে বিশ্বের আবহাওয়া ধ্বংসাত্মক রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আর এ সময় একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, সাগরের পানির তাপমাত্রা ও অম্লতা বৃদ্ধির মত বিপর্যয়ের মুখে পড়বে পৃথিবী। এমনকি চাল, গম, ভুট্টার মতো প্রয়োজনীয় ফসল উৎপাদনও ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে।

বিজ্ঞাপন

আজ শনিবার (২৭ অক্টোবর) ডেইলি স্টার ভবনে আয়োজিত অ্যাক্ট অ্যালিয়েন্সের সদস্যরা একটি প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অতিক্রমের ঝুঁকি নিয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে যে হারে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হচ্ছে, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়ে যাবে৷ এমনটাই জানিয়েছে, ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আইপিসিসি৷

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ। ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) এই ‘অ্যাক্ট অ্যালায়েন্স’-এর অন্যতম নেটওয়ার্ক সদস্য। ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রমের ঝুঁকি ও জাতীয় পর্যায়ে করণীয়’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে নানা রকমের জলবায়ুবান্ধব সুপারিশ যুক্ত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্বের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বেড়েছে। কিন্তু সেটা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি হলে জলবায়ুর পরিবর্তন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জলবায়ুর এই আঘাত ক্রমশই ক্ষতিগ্রস্থ করছে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মতো বিশ্বের অন্য অঞ্চলকেও। ইতিমধ্যেই জানা গেছে, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা সম্প্রতি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সমুদ্রে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট এবং বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ ঝড়, বন্যা এবং খরা দেখা দিতে পারে৷ এ অবস্থা চলতে থাকলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিসিডিবির জলবায়ু পরিবর্তন প্রোগ্রামের প্রধান ফয়েজুল্লাহ তালুকদার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিবেদনের মূল লেক থমাস হিরশ, প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অধ্যায়ের লেখক মো. শামসুদ্দোহা, পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যন ড. কাজী খলিকুজ্জামানসহ অন্যরা।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে মানবিক নিরাপত্তা, দারিদ্র্য নিরসন এবং টেকসই উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষার উপর ১.৫ ডিগ্রি বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের সম্ভাব্য প্রভাবগুলির ওপর আলোকপাত করা। এই রিপোর্টে বাংলাদেশের ওপর একটি একটি বিশেষ অধ্যায়ও সংযুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ ১৯৭৩ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে মানুষ ও মানবিকতা নিযে কাজ করে আসছে। ২০১২ সাল থেকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলাদা টিম গঠন করে নিবেদিতভাবে কাজ করে আসছে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বাংলাদেশের অন্যান্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বিশ্ব জলবায়ু ফোরামে সিসিডিবির গ্রহণযোগ্যতা এবং গবেষণার তথ্য বিশেষ ভাবে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।

সারাবাংলা/জেএ/এমআই

জলবায়ু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর