প্রতিবন্ধীদের জীবনমানের উন্নয়নে রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল বিল পাস
২৯ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:০১
।। সিনিয়র করসেপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠির জীবনমানের প্রত্যাশিত উন্নয়ন করে যথাসম্ভব কর্মক্ষম জীবনে ফিরিয়ে আনতে রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রদান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় বিধান করে সংসদে বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল বিল-২০১৮ পাস করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলের বিধান কার্যকর হবার পর যথাশিগগির গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার বিধান করা হয়েছে। কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় রেখে প্রয়োজন বোধে দেশের যেকোনো স্থানে অধঃস্তন বা শাখা কার্যালয় স্থাপনের বিধান করা হয়। বিলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিল গঠনের বিধান করা হয়েছে।
বিলে কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলী, কাউন্সিলের সভা, কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, নির্বাহী কমিটি গঠন, কমিটি গঠন, কাউন্সিলের তহবিল, রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান বা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিটের অনুমোদন, রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন এবং রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারকে লাইসেন্স প্রদান, বাংলাদেশের বাইরে রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা সংক্রান্ত যোগ্যতার স্বীকৃতি, স্বীকৃতি প্রত্যাহার, বাজেট, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, প্রতিবেদন পেশ, প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে। বিলের বিধান লংঘনের কারণে সংঘটিত অপরাধের বিচার পদ্ধতি এবং সুনির্দিষ্ট দণ্ড বিধান করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, নূরুল ইসলাম মিলন, নূরুল ইসলাম ওমর, ডা. আককাছ আলী সরকার, রুস্তম আলী ফরাজী, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ ও বেগম রওশন আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে একটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। বাকি প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এ ছাড়াও কস্ট অ্যন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনট্যান্টস অধ্যাদেশ, ১৯৭৭ সংশোধন ও পরিমার্জন করে, যুগোপযোগী বিধানের সংযোজন সংসদে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস বিল-২০১৮ সংশোধিত আকারে পাস করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। বিলে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অধ্যাদেশ, ১৯৭৭-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস বহাল রাখার বিধান করা হয়। ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় স্থাপন এবং প্রয়োজনে দেশের যেকোনো স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপনের বিধান করা হয়েছে।
বিলে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিল গঠনের বিধান করা হয়। এতে কাউন্সিলের নির্বাচন, মেয়াদ, কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন, কাউন্সিলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি, কাউন্সিলের সভা, কাউন্সিলের কমিটি গঠন, কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব, কোষাধ্যক্ষ ও সদস্যদের পদত্যাগ, শাখা কাউন্সিল, ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী, সদস্য-রেজিস্টার সংরক্ষণ, কর্মচারী নিয়োগ, সদস্যভুক্তির অযোগ্যতা, পেশা পরিচালনা সংক্রান্ত সনদ, ইনস্টিটিউটের তহবিল, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়।
বিলে বিধান লংঘনজনিত অপরাধের জন্য সুনির্দিষ্ট দন্ডের বিধান করা হয়। এছাড়া বিলে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অধ্যাদেশ-১৯৭৭ রহিত করার বিধান করা হয়।
জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, নূরুল ইসলাম মিলন, নূরুল ইসলাম ওমর, ডা. আককাছ আলী সরকার, রুস্তম আলী ফরাজী, নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ ও রওশন আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে দুটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। বাকী প্রস্তাবগুলো কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
সারাবাংলা/এনআর/এমআই