পরিবহন ধর্মঘটে শিশুর মৃত্যু: পুলিশের ভূমিকা জানতে চান হাইকোর্ট
৩১ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:০৫
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সম্প্রতি সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট চলাকালে অ্যাম্বুলেন্স আটকে শিশুমৃত্যুর ঘটনাসহ শ্রমিকদের বিচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ওই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন গাড়িচালকদের মুখে পোড়া মোবিল মাখানোর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কী পদক্ষেপ ছিল, সেটিও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ধর্মঘটে আটকা পড়ল অ্যাম্বুলেন্স, ৭ দিনের শিশুর মৃত্যু
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া, পরিবহন ধর্মঘটের নামে এসব ভয়ঙ্কর ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের দুই ডেপুটি কমিশনার এবং পুলিশ সুপারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
পরে আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, পরিবহন আইন সংশোধনের নামে শ্রমিকরা গত ২৮ ও ২৯ অক্টোবর সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করে। এসময় তাদের অনেকে বিশৃঙ্খলভাবে সাধারণ চালক বা শিক্ষার্থীদের মুখে পোড়া মোবিল লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে শিশুমৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
আইনজীবী সাইয়েদুল হক বলেন, পরে এ বিষয়গুলো বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনগুলো গতকাল (মঙ্গলবার) হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে আদলত এ আদেশ দেন।
সারাবাংলা/এজেডকে/টিআর