পার্লামেন্টের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করলেন সিরিসেনা
১ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:০৬
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
পাঁচদিন পর পার্লামেন্টের ওপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিলেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। আগামী ৫ নভেম্বর থেকে পুনরায় পার্লামেন্টের কার্যক্রম শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে, ১৬ তারিখ পর্যন্ত পার্লামেন্টের কার্যক্রম স্থগিত রাখার ঘোষণা দিলেও বর্ধমান চাপের মুখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিরিসেনা। খবর আল-জাজিরা।
পার্লামেন্টের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পাশাপাশি আইনসভা নিয়ে আগামী সোমবার (৫ নভেম্বর) একটি বৈঠকেরও আয়োজন করবেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট।
শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) রনিল বিক্রমসিংহকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসাকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন সিরিসেনা। বিক্রমসিংহের সরকারকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই দেশজুড়ে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে।
রাজধানী কলম্বোতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বক্তব্যে রাজাপাকসা বলেন, প্রেসিডেন্ট ৫ তারিখ পার্লামেন্ট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পার্লামেন্ট খোলায় আইনসভার ২২৫ সদস্য এখন রাজাপাকসা ও বিক্রমসিংহর মধ্য থেকে তাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে পারবেন। বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে বিক্রমসিংহ তার দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি)-কে পার্লামেন্টে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।
পার্লামেন্ট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে তিনি এক টুইটে লিখেন, জনগণের আওয়াজে সাড়া দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্র জয়ী হবে।
তার দল ইউএনপি সিরিসেনার সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করেছে। দলের এক আইনপ্রণেতা অজিথ পেরেরা বলেন, আমাদের সঙ্গে ১২৪জন আইনপ্রণেতা রয়েছেন। পার্লামেন্ট খুললে আমরা আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবো।
প্রসঙ্গত, রাজাপাকসাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে চরম সমালোচনার শিকার হয়েছেন সিরিসেনা। রাজাপাকসার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নিতীসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। সমালোচকরা বলেছেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী আস্থা ভোটে পরাজিত হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নতুন কোন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারেন না।
সিরিসেনার এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। এদিকে, নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও, রাজাপাকসা তার ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। বুধবার তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছে, তাদের ধারণা খুব শীঘ্রই তিনি চলতি বছরের বাজেট নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন।
আল-জাজিরা জানায়, বিক্রমসিংহের সরকারর ওপর জনগণের ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছিল। জীবন মানের খরচ বৃদ্ধি নিয়ে দেশজুড়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়েছে।
সারাবাংলা/আরএ/এনএইচ
মাইথ্রিপালা সিরিসেনা মাহিন্দা রাজাপাকসাকে রনিল বিক্রমসিংহ রাজনৈতিক অচলাবস্থা শ্রীলংকা