ফের ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনী আরও শক্তিশালী হবে: প্রধানমন্ত্রী
৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:৪০
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফের ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
সোমবার রাজধানীর খিলক্ষেতে নৌবাহিনী ঘাঁটি ‘শেখ মুজিব’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও স্বাধীন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। এজন্য তিনি একটি প্রতিরক্ষা নীতিমালাও তৈরি করেছিলেন। আবার ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনীকে আরও আধুনিকভাবে করে গড়ে তোলা হবে।’
শেখ হাসিনা জানান, যারা দেশের অতন্ত্রপ্রহরী তাদের পরিবারের সকলেই যেন ভালোভাবে বসবাস করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিজস্ব আবাসন প্রকল্প ‘বিএন হাউজিং প্রজেক্ট সাভার’ প্রকল্পটিতে নৌ সদস্যদের আবাসনের জন্য ১০টি ২৭ তলা ও ১২টি ২৬ তলা বিশিষ্ট আধুনিক মানের ভবন নির্মাণ করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অত্যাধুনিক শপিং মল, হোটেল ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা সংবলিত মোট ৩টি ধাপে ২০২১, ২৩ ও ২৫ সালে নৌ সদস্যদের মধ্যে ফ্ল্যাটগুলো হস্তান্তর করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌবাহিনীর পরিচিতি এখন সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃত হয়েছে। নৌবাহিনীর জাহাজ বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। কাজেই আধুনিক, দক্ষ ও সুপ্রশিক্ষিত বাহিনী গড়তে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। তাই আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ প্রশিক্ষণের জন্য নেভাল একাডেমি তৈরি করা হয়েছে। ১ লাখ ১৮ হাজার বর্গমাইলের মতো নতুন সমুদ্রসীমা যোগ হয়েছে। বিশাল সমুদ্রসীমা পাহাড়ায় নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌবাহিনীর নিজস্ব স্বক্ষমতায় দেশের মাটিতে যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণে সফলতা এনেছে। খুলনা শিপইয়ার্ডে এরই মধ্যে ৫টি পেট্টোল ক্রাফট ও দুটি লার্জ পেট্টোল ক্রাফট তৈরি করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ নৌবাহিনী বাইয়ার নেভি থেকে বিল্ডার নেভিতে পরিণত হবে। তখন শিপইয়ার্ডে ফ্রিগেট নির্মাণে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় সম্প্রতি বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা ক্ষেত্রে আমরা অনেক উন্নত দেশকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। সব ধরনের আর্থ সামাজিক সুচকে আমরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছি। বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোড মডেলে পরিণত হয়েছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরাই বিশ্বে প্রথম শত বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ শুরু করেছি।’
সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে যা যা করা দরকার তার সবই করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সারাবাংলা/ইউজে/একে