সংবিধানের বাইরে গেলে ইতিহাসে দায়ী হয়ে থাকবেন: বি. চৌধুরী
৯ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:৪৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সংবিধান আপনাদের যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়েছে, এই ক্ষমতার বাইরে গেলে ইতিহাসে দায়ী হয়ে থাকবেন।’
শুক্রবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ জনদল’ এর প্রধান উপদেষ্টা এ আর সামাদের স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখন রাষ্ট্রপতির অধীনে, ফলে রাষ্ট্রপতিও এই দায় এড়াতে পারবেন না। নিরপেক্ষ নির্বাচন যদি না হয়, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হয় তবে ইতিহাসে দায়ী হয়ে থাকবেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি এবং নির্বাচন কমিশন।’
যুক্তফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ‘৫ বছর পর পর জাতীয় নির্বাচন হয়। এই নির্বাচন সুন্দরভাবে করা উচিৎ। প্রত্যেকটি দল যাতে তাদের প্রার্থী বাছাই করতে পারে সেজন্য একটু সময় দেওয়া দরকার। এজন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি নির্বাচনের সময় ৭ দিন পেছানোর দাবি জানাই। আশা করি আমার দাবির প্রতি তারা গুরুত্ব দেবে।’
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনায় সত্যিকারের নিরপেক্ষতা দেখাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখন আর সরকারের অধীনে নেই, তারা এখন রাষ্ট্রপতির অধীনে। তাই সাহসী ভূমিকা নিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন। মাঠ উঁচু-নিচু থাকলে মাঠে খেলা হয় না।’ এসময় তিনি সংসদ ভেঙে দেওয়া অথবা সংসদ সদস্যদের নিস্ক্রিয় করার জোর দাবি জানান।
বি চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের সময় বিজিবি এবং সেনা সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে। যেখানে গণ্ডগোল হবে সেখানে তারা ছুটে যাবে। গণ্ডগোল হবে আর পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলে ওই পুলিশ সদস্যদের বিচার করতে হবে। নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেওয়া চলবে না। এখন থেকে কোনো দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা চলবে না। যে সমস্ত পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে তাদের বিচার করতে হবে।’
আমরা শান্তি-সুখের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, শ্রদ্ধার রাজনীতি শুরু করতে চাই উল্লেখ করে প্রবীণ এ নেতা বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাস এবং লগি-বৈঠার রাজনীতি এখন আর দেখতে চাই না। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জিয়াউর রহমানও লড়াকু সৈনিক ছিলেন, তাদের সবাইকে সম্মান করতে হবে। মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়র্দীসহ সব রাজনীতিবিদদের শ্রদ্ধা করার ভাষা আমাদের শিখতে হবে।’
সারাবাংলা/এইচএএইচ/এমও