আদাবরের ঘটনায় দুই দিনের মধ্যে রিপোর্ট চান প্রধানমন্ত্রী: কাদের
১০ নভেম্বর ২০১৮ ২১:৫৮
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
মোহাম্মদপুরের আদাবরে সংঘর্ষের ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দুই দিনের মধ্যে এই ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট চেয়েছেন। শনিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদক মন্ডলীর এক জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, প্রাণ গেল ২ কিশোরের
ওবায়দুল কাদের বলেন, আদাবরের ঘটনা নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করেছি। তিনি আমাকে তার নির্দেশনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়ে দিতে বলেছেন। তিনি দুই দিনের মধ্যে এই ঘটনা তদন্ত করে রির্পোট জানতে চান। একটি চমৎকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেন অনাকাঙ্খিত মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো। এ ব্যাপারে যারাই দায়ী হক তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আরেকটি বিষয় জানাতে বলেছেন, সারাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চলছে। এই অবস্থায় কেউ যাতে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার না হয়। রাজনৈতিক কোন ধরপাকড় না হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যাতে বিষয়টি সর্তকের সাথে ভালো ভাবে দেখেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দাবি যথাসময়ে নির্বাচন। সংবিধান সম্মত নির্বাচন। এই তফসিল অনুযায়ী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য এই তফসিল যথাযথ।
এছাড়া, ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্বাচন পিছানোর যে দাবি করেছে তার সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সেটা নির্বাচন কমিশন জানে। আমি জানি না।
ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনের অভিমুখে পথযাত্রার মত কর্মসূচি দিবে, এ ধরনের কর্মসূচিতে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেটারও ব্যবস্থা নিবে নির্বাচন কমিশন। যদি তারা কোন কর্মসূচি নেয় যাতে স্ট্রিট হেজিটেশন হয়, তাহলে এটা নির্বাচনী আইন আচরণ-বিধির সাথে মোটেও সামঞ্জস্য নয়। নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সে অবস্থায় এটার কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়।
তিনি বলেন, আমরা ভালোর জন্য আশাবাদী। আমরা মনে করি ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আসবে। শেষমেষ আরও কিছু পাওয়া যায় কিনা আরও কিছু ছাড় দেয় কিনা সেজন্য তারা বিরোধীদল সুলভ হুঙ্কার দিচ্ছে। এখানে দর কষাকষির একটা বিষয় আছে। তাই শেষ মূহুর্তে চেষ্টা করে দেখছে কিছু পাওয়া যাবে কিনা।
যদি নির্বাচনের তফসিল না পিছানো হয় বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে না আসার কোন আশঙ্কা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন নির্বাচন রিলেটেড সকল সিদ্ধান্তের মালিক নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আমাদের কিছৃই বলার কিছু নেই। যদি নির্বাচন কমিশন মনে করে তাদের দাবি ন্যায় সঙ্গত সেটা তার ডিসাইড করবে। আওয়ামী লীগ সরকারের কোন করণীয় নেই। আমরা চাই যথাসময়ে নির্বাচন। আমরা প্রস্তুত আছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পথে অন্তরায় সৃষ্টিকারী, সহিংসতা বা নাশকতা যুক্ত হলে সেটারও প্রতিরোধ করার জন্য জনগনণ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রস্তুত আছি।
তিনি বলেন, আমাদের মনোনয়ন কবে নাগাদ বিক্রি ও জমা হবে, আগামীকাল (রোববার) আমাদের সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পার্লামেন্টারি ভোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হবে। আগামীকাল বিকেল সাড়ে তিনটায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এসভা বসবে। সেখানেই মূলত ঠিক করা হবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা বা জমা দেওয়া কোন সময় পর্যন্ত চলবে।
আগামীকাল থেকে সন্ধ্যা ছয়টার পরে আর মনোনয়ন বিক্রি এবং জমা নেওয়া হবে না বলেও জানান কাদের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল , তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
এমএমএইচ/এনএইচ