আপন জুয়েলার্সের ৩ মালিকের জামিন বহাল
৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:৩৮
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: অর্থ পাচার মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সোমবার দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই আদেশ দেন।
এ আদেশের ফলে গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমদের মুক্তিতে বাধা নেই। তবে আরও দুই মামলা থাকায় দিলদার আহমেদ এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আদালতে আপন জুয়েলার্সের মালিকদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ চেম্বার বিচারপতির আদালতের দেওয়া জামিন স্থগিত আদেশের মেয়াদ ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছিলেন।
আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছিলেন চেম্বার বিচারপতি মো. ইমান আলী। এরপর তা বাড়িয়ে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।
অর্থ পাচারের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান, ধানমণ্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের করা পাঁচ মামলার মধ্যে তিন মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক। ওইদিন অন্য দুই মামলা স্ট্যান্ডওভার রেখে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে আদেশ দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত বছরের মে মাসে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ।
এ ঘটনার পরই আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’ এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা।
মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯ টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার সহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়।
দুই মামলায় গত ২২ আগস্ট তিন ভাই হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। এরপর বিচারিক আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গত ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
পরদিন আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমএ