ড্যান্ডি ডাইং মামলা, খালেদা-তারেকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ১৫ মে
১৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৪
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ড্যান্ডি ডাইং কোম্পানির অনুকূলে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়েছেন আদালত। আগামী বছরের ১৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ঠিক করা হয়েছে।
বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করলে ঢাকার ১ নম্বর অর্থঋণ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।
এই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং তার দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান, সাঈদ এস্কান্দারের সাঈদ ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, মিসেস শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান, প্রয়াত বিবাদী মোজাফফরের স্ত্রী শামসুন্নাহার এবং ছেলে মাসুদ হাসান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ১৬ বিবাদীর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন করেন ওই আদালত। কোকা মারা যাওয়ায় একই আদালত খালেদা জিয়া ও কোকার স্ত্রী সন্তানদের বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত করেন।
এর আগে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ১৯৯২ সালে তিন কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেড। ১৯৯৩ সালের ৫ মে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ নেন বিবাদীরা। এরপর ১৯৯৬ সালে সাঈদ এস্কান্দারের আবেদনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবার ঋণ মঞ্জুর করে। ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল ড্যান্ডি ডায়িংকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ করেননি।
সারাবাংলা/এআই/এটি