অভিনেত্রী নওশাবা মামলার প্রতিবেদন ১৫ জানুয়ারি
১৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৮
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে এসে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারী দিন নির্ধারণ করেছে আদালত।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্ধারিত ছিল। তবে এদিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম জসীম উদ্দিন প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর জিগাতলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অন্যপক্ষের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক লাইভে আসেন নওশাবা। ফেসবুক লাইভে তিনি জানান, জিগাতলায় চারজনকে মেরে ফেলা হয়েছে, একজনের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। ওই সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওইদিন জিগাতলায় এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
গত ২১ আগস্ট পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় নওশাবাকে জামিনে মুক্তি পান।
গুজব সৃষ্টির অভিযোগে ৪ আগস্ট রাতে উত্তরা থেকে নওশাবা আহমেদকে আটক করে র্যাব।
উল্লেখ্য, নওশাবা আটক করার পরদিন তাকে তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
র্যাব-১ এর ডিএপি আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ সালের ৫৭(২) ধারায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন।
নওশাবা আদালতে নেওয়া হলে রোববার (৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হকের আদালত তাকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠান। প্রথম দফায় রিমান্ড শেষে ১০ আগস্ট আবারও নওশাবাকে দুইদিনের রিমান্ডে পাঠান ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক।
মামলায় বলা হয়, নওশাবা নিজের মোবাইল থেকে নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ৪ আগস্ট বেলা ৪টায় নওশাবা লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে বলেন, আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুই জনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসাথে হোন। প্লিজ ওদেরকে প্রটেকশন দেন। বাচ্চাগুলো আনসেভড অবস্থায় আছে। প্লিজ আপনারা রাস্তায় নামেন। প্লিজ আপনারা রাস্তায় নামেন এবং ওদের প্রটেকশন দেন। এটা আমার রিকোয়েস্ট। আমি এদেশের একজন মানুষ, নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি যে, জিগাতলায় একটু আগে একটি স্কুলে একটি ছেলের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। একটু আগে ওদেরকে এট্যাক করা হয়েছে। ছাত্র লীগের ছেলেরা সেটা করেছে। আমরা ৭১ এ পেরেছি, ৫২ তে পেরেছি এবারও পারবো। আমাদের দরকার নাই কাউকে। তার এই আহ্বান মুহূর্তেও মধ্যে দেশি বিদেশি সামাজিক ও ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে ভাইরাল হয় ফলে জনমনে আতঙ্ক ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা তার এই মিথ্যা প্রপ্রাগন্ডার উৎস জানার জন্য ফোন করলে সে তার সপক্ষে সঠিক কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে ওই সময় জিগাতলায় ওই ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। সে ইচ্ছাকৃতভাবে ও পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য এইরূপ মিথ্য ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করে।
সারাবাংলা/এআই/এমআই