শাশুড়ি হত্যায় মামলা: বাদী ও তার মা রিমান্ডে
১৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:০২
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: দাম্পত্য কলহের জের ধরে সাভারের আশুলিয়ার চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে দিয়ে মেয়ে জরিনা খাতুনকে হত্যা মামলায় মামলার বাদী (নূর ইসলাম) ও তার মায়ের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৮ নভেম্বর) বিকালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মামলার বাদী ও মেয়ের জামাই নুর ইসলাম ও তার মা মোছাম্মৎ আমেনা বেগম। একই সাথে স্বপন নামের আরেক আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। স্বপন সম্পর্কে নিহতের বেয়াই হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ইন্সপেক্টর মো. শাহজাহান এই দুই আসামির সাতদিনের রিমান্ড ও স্বপনের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এ রিমান্ডের আদেশ ও জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তবে নূর ইসলাম ও তার মা আমেনা বেগমের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।
শাশুড়িকে হত্যা, সাজা এড়াতে নিজেই মামলা করেন নূর ইসলাম
আদালতের বিচারক আসামিকে খুনের বিষয় জিজ্ঞাসা করলে নূর ইসলাম তা অস্বীকার করেন। তখন আদালতের উদ্দেশে নুর ইসলাম বলেন, ‘উনি (জরিনা খাতুন) আমার শাশুড়ি। তাছাড়া উনি অসুস্থ মানুষ, কাশতে কাশতে মরে যান। উনাকে মেরে আমার লাভ কি? অসুস্থ মানুষকে মেরে আমার লাভ কি?’ এরপর বিচারক এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১৬ নভেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর দুপুরে আশুলিয়া থানার গাজীরচট মুন্সীপাড়া এলাকায় মেয়ের জামাই নুর ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ওই দিন দুপুরে খাবার খেয়ে বিকেলে নিজ বাড়ি সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে বের হন এবং টাঙ্গাইলগামী একটি মিনিবাসে উঠেন। কিছুক্ষণ পর বাসে থাকা হেলপার ও আরো কয়েকজন লোক মারধর করে জরিনার বাবাকে আশুলিয়া মরাগাং এলাকায় নামিয়ে দেয়। জরিনাকে বাসে নিয়ে চলে যায়। জরিনার বাবা বিষয়টি তার আত্মীয় স্বজনকে জানায়। সংবাদ পাওয়ার পর জরিনার মেয়ের জামাই নুর ইসলাম জরিনার আত্মীয়-স্বজন এসে আশুলিয়া ব্রিজের ৫০০ গজ উত্তর পাশে মরাগাং এলাকায় জরিনার মৃতদেহ খুঁজে পায়।
ওই ঘটনায় ভিকটিমের জামাই নূর ইসলাম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এআই/এমও