শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনায় আসছে প্রত্ননাটক ‘মহাস্থান’
১৯ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:২৬
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট ।।
বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রত্ননাটক করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। তার ধারাবাহিকতায় আড়াই হাজার বছরের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে প্রত্ননাটক ‘মহাস্থান’ মঞ্চায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ড. সেলিম মোজাহার-এর রচনায় এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর নির্দেশনায় আগামী ২৩ ও ২৪ নভেম্বর বগুড়ার মহাস্থানগড়ে প্রযোজনাটির মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে। চুড়ান্ত প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২০ থেকে ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মহড়া। বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমি প্রযোজিত ইতিহাসভিত্তিক এই প্রযোজনায় প্রায় ৩৫০ জন শিল্পী অংশ নিচ্ছেন।
নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়নে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক। উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রসিদ্ধ এই নগরী একসময় বাংলার রাজধানী ছিল। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এখানে জনপদ গড়ে উঠেছিল। বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত মহাস্থানগড়কে ২০১৬ সালে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
শিল্পকলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, মহাস্থান নাটকে আমাদের জাতিসত্তার ইতিহাসকে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। মহাস্থানগড়ের প্রাচীন ইতিহাসের সাথে সময়ের পরম্পরায় বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম পর্যন্ত সময়কালকে একক গ্রন্থনায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই নাটকে প্রাচীন শিকারযুগ থেকে শুরু করে বৈদিকযুগ, আদিবাসি পর্ব, রামায়নের গীত, কালিদাসের কাব্য, চর্যাপদ, সুফিসামা, বৈষ্ণব পদাবলী, ব্রাহ্মসংগীত, লোকগান, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, ব্রতচারীদের গান, পঞ্চকবির গান, ভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ইতিহাস, কাব্য-গীত ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা পালাগানরূপে প্রকাশিত হয়েছে।
নতুন প্রজন্মের সামনে ইতিহাস ঐতিহ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি আমাদের যে সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের আলোকিত অধ্যায় রয়েছে, সেটাই মহাস্থান নাটকের মধ্যদিয়ে প্রকাশের চেষ্টা করা হয়েছে।
সারাবাংলা/পিএম