নয়াপল্টনের ঘটনায় ফৌজদারি অপরাধ হয়েছে: ইসি
১৯ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:০০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ১৪ নভেম্বরের সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘ফৌজদারি অপরাধ’ বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘নয়া পল্টনের ঘটনায় ফৌজদারি অপরাধ হয়েছে। গতকাল (রোববার) এ ঘটনার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। সেই প্রতিবেদনের ভিডিও, স্থিরচিত্র ও অন্যান্য তথ্য পর্যালোচনা করে কমিশন মনে করে, এটা ফৌজদারি অপরাধ।’
আরও পড়ুন- ‘তারেক রহমানের স্কাইপিতে কথা বলা নিয়ে ইসির করণীয় নেই’
সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে কমিশন সভা পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, গত ১৪ নভেম্বর নয়াপল্টনে যে অনাকঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার পূর্ণাঙ্গ একটি প্রতিবেদন আমরা পুলিশের মহাপরিচালকের (আইজিপি) কাছ থেকে গতকাল (রোববার, ১৮ নভেম্বর) পেয়েছি। সেই প্রতিবেদনটি আজকের কমিশন সভায় পর্যালোচনা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, নয়াপল্টনে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি ফৌজদারি অপরাধ। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন। কমিশন মনে করে, এই তদন্ত চলতে বাধা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে কমিশন এ-ও মনে করছে যে, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত নয়, এমন কোনো ব্যক্তিকে যেন হয়রানি করা না হয়। সে বিষয়ে আইজিপিকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হবে। এ ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল ও ভোটারের সহযোগিতা চেয়েছে ইসি।
নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বলছে বিএনপির নেতাকর্মীরা আগে হামলা করেছে; বিএনপি বলছে, পুলিশ আগে হামলা করেছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। বিএনপির কাছ থেকে এ বিষয়ে পুলিশ কোনো তথ্য নেবে কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, কোনো ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের এখতিয়ার একমাত্র পুলিশেরই রয়েছে। এই এখতিয়ার অন্য কারও নেই। তাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। বিএনপির কাছ থেকে এ বিষয়ে তথ্য নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপির পক্ষ থেকে গায়েবি মামলায় দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বিষয়ে ইসিতে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বিএনপির কাছ থেকে এ ধরনের মামলার একটি দীর্ঘ তালিকা পেয়েছি। কিন্তু সেই তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, যেসব ঘটনায় এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেগুলো সবই তফসিল ঘোষণার আগের। ফলে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো করণীয় নেই। তাই কমিশন এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না।
তফসিল ঘোষণার পরও বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে আট শতাধিক মামলা হয়েছে এবং এই মামলার তালিকাও বিএনপি আলাদাভাবে ইসিতে জমা দিয়েছে— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইসি সচিব বলেন, আমরা সেই তালিকা পেয়েছি। তালিকাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি। কমিশন মনে করে, বিএনপি যে অভিযোগগুলো করেছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। তাই কমিশন এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
আরও পড়ুন-
নয়াপল্টনে যে কারণে পিছু হটেছিল পুলিশ
সারাবাংলা/জিএস/একে/টিআর