‘নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না আ স ম ফিরোজ’
২২ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের সুদ মওকুফ ও ঋণের সর্বশেষ পুনঃতফসিল স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
এর ফলে ঋণ খেলাপি হিসেবে আ স ম ফিরোজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে দাবি করেছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেয়।
মেসার্স পটুখালী জুট মিলের ঋণ বারবার পুনঃতফসিল করার ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতা মানতে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফলের পৌর মেয়র মো. জিয়াউল হক রিট আবেদন করেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সঙ্গে ছিলেন ও এম মাইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
পরে আইনজীবী মাইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ ও নীতি বিভাগ (ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট-বিআরপিডি)-এর ১৫তম সার্কুলার অনুযায়ী ঋণ তিনবারের বেশি পুনঃতফসিল করা যায় না।
মেসার্স পটুয়াখালী জুট মিলস লিমিটেডের নামে আ স ম ফিরোজের নেওয়া ঋণ সোনালী ব্যাংক ১৯৯৪ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত মোট নয়বার রিসিডিউল (পুনঃতফসিল) করেছে।
সবশেষ নয়বারের মত রিসিডিউল দেয়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক এটির অনুমোদনও দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তটিই স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত রুল জারি করেন।
এ আইনজীবী বলেন, ‘এ আদেশের ফলে আ ফ ম ফিরোজ এখন ঋণ খেলাপি। আর আইন অনুযায়ী ঋণ খেলাপি ব্যক্তি তো নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।’
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই