সিঙ্গাপুরে আকস্মিক বন্যা
৯ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:৩১
সারাবাংলা ডেস্ক
বাংলাদেশের মতো গ্রীষ্ম প্রধান দেশ যখন শীতে কাবু ঠিক তখনই সিঙ্গাপুর ভাসছে বন্যায়। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে সেখানে আকস্মিক বৃষ্টিপাতের শুরু হয়। এতে প্লাবিত হয় দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কিছু এলাকা। ঘুম থেকে উঠে কাজে যাবার সময় স্থানীয়রা দেখে দরজায় পানি জমে আছে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সের মি. লিম জানান, ‘সকালে উঠে দেখি বাড়ির বারান্দায় পানি জমে আছে, পানির রঙ দেখে বোঝা যায় এটি ড্রেনের ময়লা পানি। গত ৩০ বছরে আমি এমন বন্যা দেখেনি।’
মি. লিমের মতো দুর্ভোগে পড়েন নগরীর অন্য বাসিন্দারাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় তাদের হাঁটু ও কোমর পর্যন্ত পানির ছবি। স্থানীয় প্রশাসন সকাল থেকেই নাগরিকদের বন্যার বিষয়ে সতর্ক করতে থাকে।
সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউটিলিটি বোর্ড জানায়, ‘মাত্র চার ঘণ্টাতেই বর্ষাকালের সমান বৃষ্টিপাত হয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণাধীন থাকায় পানি জমে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
সিঙ্গাপুরে সেপ্টেম্বর-ফেব্রুয়ারি সময়টি আদ্র থাকে। এ সময় বৃষ্টিপাত খুব বিরল নয়। তবে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত বেশি হচ্ছে বলে জানায় দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর। স্বাভাবিক মৌসুমি বায়ুকে প্রভাবিত করেছে সুমাত্রা থেকে আসা পার্বত্য শীতল বায়ু। যা সাধারণত মার্চ-নভেম্বর মাসে আসে।
সিঙ্গাপুরের জাতীয় পানি সংস্থা’র মুখপাত্র জানান, ‘পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণ ২০১৯ সালের প্রথম দিকেই শেষ হবে। এরপর এ ধরনের সমস্যা সিঙ্গাপুরে থাকবে না।’
তিনি আরও জানান, ‘প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গেছে বর্তমান পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা শতভাগ কাজ করছে। এতে কোনও বাধা নেই। তবে আমাদের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা এরকম ভারী বর্ষণের উপযোগী নয়।’
দেশটির জাতীয় পরিবেশ সংস্থা জানিয়েছে, সামনে আরও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ণয় করা কঠিন।
বন্যার পানি পাম্প দিয়ে নিষ্কাশন করার চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির পানি সংস্থা। রেডিওতে প্রতিনিয়ত মানুষকে সাবধান করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/এমএ/এনএস