Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিক্রেতার ‘চলন্ত পুকুর’, তাজা মাছে খুশি ক্রেতা


২৭ নভেম্বর ২০১৮ ১০:৪৭

।। মো. আশিকুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

সুনামগঞ্জ: শীত মৌসুমে শুকিয়ে যাচ্ছে হাওর, পুকুর, খাল বিলের পানি। জেলা শহরের মাছের বাজারে তাই দেখা মিলছে হরেক রকমের মাছের। একসময় ব্যবসায়ী বা জেলেরা বাজারে মাছ নিয়ে আসতেন খাঁচায় বা অ্যালমুনিয়ামের হাড়িতে করে। কিন্তু তাতে বাজারে আনতে আনতে অনেক মাছ মরে যেত। সেই সমস্যার সমাধানে বিক্রেতারা তৈরি করেছেন ‘চলন্ত পুকুর’।

সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার পুকুর, খাল-বিলের মাছ ট্রাকের মধ্যেই পুকুর বানিয়ে জ্যান্ত মাছ নিয়ে আসছেন শহরের বাজারে বিক্রি করতে। এ যেন ‘চলন্ত পুকুরে’ তাজা মাছ। বাজারে তাজা মাছের প্রচুর চাহিদা। সে কারণেই মূলত ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে জেলেরা এভাবে জ্যান্ত মাছ নিয়ে আসছেন বাজারে। আর এভাবে তাজা মাছ কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারাও।

বিক্রেতারা জানান, মরা মাছের তুলনায় তাজা মাছ দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। টাটকা থাকার কারণে ক্রেতাদের এ সব মাছ পছন্দ। তাছাড়া কোনোপ্রকার ফরমালিন বা ক্যামিকেল মেশানো থাকে না। যে কারণে নিশ্চিন্তে এসব মাছ কেনেন তারা। এসব মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, মৃগেল, গ্রাসকার্প, সরপুঁটি, কালাবাউস ইত্যাদি। এ ছাড়াও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বড় আকৃতির বোয়াল, আইড়, কই, শিং, মাগুর, পাবদাসহ নানান প্রজাতির মাছ।


মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, শীতকালে মাছের আমদানি বেড়ে যায়। এ সময়ে পাওয়া যায় নানা রকমের সুস্বাদু মাছ। সাধারণত জ্যান্ত মাছের প্রতিই ক্রেতাদের আকর্ষণ বেশি। এ সব মাছ প্রথমে জেলেরা পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। পরে পাইকারদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা মাছ কিনে নিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। আকার ভেদে এসব মাছ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

পৌর কিচেন মার্কেট মাছ কিনতে আসা আফসান আহমেদ বলেন, ‘বাজারে জ্যন্ত মাছের চাহিদা বেশি, দামও বেশি। মরা মাছে অনেক সময় ফরমালিন মিশিয়ে ফেলে বিক্রেতারা। অথবা টাটকা রাখার জন্য বরফ দিয়ে ঢেকে রাখে। এই মাছ কিনে স্বাদ পাওয়া যায় না। জ্যান্ত মাছই সবার পছন্দ।’

বিশ্বম্ভরপুর থেকে ট্রাকের মধ্যে পুকুর বানিয়ে নিয়ে আসা জেলে শামছুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘জ্যান্ত মাছের চাহিদা বেশি, এ কারণে মূলত আমরা এভাবে নিয়ে আসি। খাঁচায় করে মাছ নিয়ে এলে দ্রুত মরে যায়। বেশি সময় থাকলে পচনও ধরে যায়। বিক্রি করতেও অনেক সময় লেগে যায়। তাই আমরা এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছি।’

পাইকারি বিক্রেতা ফারহান মিয়া বলেন, ‘বাজারে জেলেরা মাছ নিয়ে এলে আমরা কিনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে ফেলি। আগে এভাবে জ্যান্ত মাছ পাওয়া না গেলেও এখন সব সময় পাওয়া যায়।’

খুচরা বিক্রেতা উজ্বল মিয়া বলেন, ‘তাজা মাছের চাহিদা অনেক বেশি। মাছ জ্যান্ত পাওয়ায় আমরাও ধীরে ধীরে বিক্রি করতে পারি।’

সারাবাংলা/এমও


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর