৫ বিএনপি নেতার দণ্ড স্থগিতের আবেদন হাইকোর্টে খারিজ
২৭ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:৩৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: দুর্নীতির দায়ে বিচারকি আদালতের দেওয়া দণ্ড ও সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্সড) স্থগিত চেয়ে পাঁচ বিএনপি নেতার দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওই পাঁচ বিএনপি নেতা হলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লা আমান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন , ওয়াদুদ ভুঁইয়া ও আব্দুল ওহাব ও ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম।
আদালতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লা আমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম। ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আহসানুল করীম ও খায়রুল আলম চৌধুরী । ওয়াদুদ ভুঁইয়া ও আব্দুল ওহাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক, ও ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম।
পরে ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, পাচঁজন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন সাজা ও দণ্ড স্থগিত করার জন্য। এই উদ্দেশ্যে যে, যাতে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। আদালত সব পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে পাচঁটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আদালত দুইটি গ্রাউণ্ডে এ আবেদন বিবেচনার যোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন।
আদালত বলেছেন, ৪২৬ সেকশন অনুযায়ী সেনটেনসকে স্থগিত করা যায়। কিন্তু কনভিকশনকে স্থগিত করা যায় না। দ্বিতীয়ত সংবিধানের ৬৬ এ বলা আছে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবে না। এ বিবেচনায় আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হবে জানিয়ে এ আইনজীবী বলেন, আমরা আদালতে বলেছি, সেকশন ৪২৬ এ বলা আছে, সেনটেন্স স্থগিত করা যায়। এবং যার বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে, সেই আদেশটা স্থগিত করা যায়। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নির্বাচন করা যায় ভারতসহ বিভিন্ন দেশের নজির দেখিয়েছি। যেখানে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ