২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নথি হাইকোর্টে
২৭ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:২৮
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুই মামলার রায়সহ ৩৭ হাজার তিন শ ৮৫ পৃষ্ঠার নথি পৌঁছেছে হাইকোর্টে।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে দুপুরের পর এ নথি হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে দেওয়া হয়, বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল সূত্র। এ ছাড়া, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কপিসহ যাবতীয় নথি হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় গেছে। সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দ্রুতবিচার ট্রাব্যুনাল-১-এর পিএ স্টেনোগ্রাফার অলিউল ইসলাম।
আরও পড়ুন: তারেকের যাবজ্জীবন, বাবর-পিন্টুর ফাঁসি
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ও তারেকের নাম বলিনি, তাই সাজা পেলাম: বাবর
বিকেলে মামলার নথিগুলো পৌঁছালে হাইকোর্টের ডেসপাস শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুখ সেগুলো গ্রহণ করেন।
এর মধ্যে এই ঘটনার হত্যা মামলার রায় ৩৬৯ পাতা এবং বিস্ফোরক আইনের মামলার রায় ৩৫৬ পাতা। আর অন্যান্য নথির মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা, তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া সাক্ষীদের জবানবন্দি, যুক্তিতর্ক, আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য, আদালতে দেওয়া আসামিদের স্বীকারোক্তি, ট্রাইব্যুনালে দেওয়া আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের হাজিরা ও দরখাস্ত রয়েছে নথির ভেতরে।
গত ১০ অক্টোবর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে মামলা দুটিতে বিএনপি-জামায়াত সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।এছাড়া বাকি ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
নিয়ম অনুয়ায়ী বিচারিক আদালতের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ( মৃত্যদণ্ড কার্যকরের অনুমতি) ওইসব মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এসময় সুপ্রিমকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা তা গ্রহণ করে। এরপর প্রধান বিচারপতির নির্দেশে ডেথ রেফারেন্সর শুনানির জন্য পেপারবুক তৈরী ও বেঞ্চ ঠিক করা হয়।
এসব মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের কেউ যদি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সেক্ষেত্রে ঐ আপিল শুনানি ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি একসঙ্গে হয়।
সারাবাংলা/এএইচ/জেএএম/জেডএফ