বেদখল হওয়া ডেসটিনির সম্পদের দায়ভার নিয়ে প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের
২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:২৪
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ‘কোম্পানির শীর্ষ পরিচালকদের জামিন হচ্ছেনা, অন্যদিকে সম্পদ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এর দায়ভার কে নেবে?’ প্রশ্নটি ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশক ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলামের।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিটির অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের সমন্বয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
কোম্পানির শীর্ষ ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ হোসাইন ও মোহাম্মদ রফিকুল আমীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের মুক্তির দাবি করে শহিদুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অরক্ষিত থাকার কারণে ডেসিটিনির ক্রয়করা বিভিন্ন বাগানের গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। জমি দখল করে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা। গত ছয় বছরের ওপর আনন্দ, ছন্দ সিনেমা হলের কোন আয়-ব্যয়ের হিসেব নেই। নির্মাণাধীন ভবন নষ্ট হচ্ছে যার আনুমানিক মূল্য ৩ হাজার কোটি টাকা।
মানুষ যত অপরাধই করুক জামিন পাওয়া তার নাগরিক অধিকার। ডেসটিনির শীর্ষ পরিচালকদের সেই অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে শহিদুল বলেন, ডেসটিনি দ্বারা আমরা ক্ষতিগ্রস্ত না, প্রতারিত না। ডেসটিনিতে অর্থপাচার বা মানিলন্ডারিং হয়নি। সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্যের ভিত্তিতে ডেসটিনির বিরুদ্ধে মামলা করে আমাদের কর্মসংস্থান কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডেসটিনির শীর্ষ পরিচালকদের দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ায় এনে নিঃশর্ত মুক্তি এবং সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা–পরিবেশকদের কর্মসংস্থান ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডর বিনিয়োগকারী,মোহাম্মদ মোশারফ হোসাইন, শরিফুল ইসলাম গাজী, শারমিন আক্তার স্বর্ণা, মোহাম্মদ আবুল হাসান, ওয়াসিম আক্তার, শহীদ হোসাইন প্রমুখ।
সারাবাংলা/এনএইচ