আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সঠিক বিচারের বিকল্প নেই: দুদক চেয়ারম্যান
২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:০৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অপরাধীদের সঠিক বিচারের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) দুদক কার্যালয়ে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট (স্ট্রেনদেনিং অব ল’ প্রোগ্রাম)-এর টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রবার্ট লকারির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইনের শাসন, রাষ্ট্রভেদে, সামাজিক, আর্থিক এবং সংস্কৃতির ভিন্নতার কারণে আপাত দৃষ্টিতে ভিন্ন মনে হলেও—চূড়ান্ত বিচারে অপরাধের শাস্তি নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই। অপরাধীদের শাস্তির মাত্রা দেশ-কাল-পাত্রভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে আইনের শাসন যেখানে রয়েছে সেখানে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।’
দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের তদন্তের মান আপ-টু দ্য মার্ক নয়, কাঙ্ক্ষিত মানের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এ কারণেই হয়তো কমিশনের মামলায় শতভাগ সাজা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।’
কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতার প্রশংসা করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণসহ উত্তম চর্চার বিকাশে যে সব কাজ করছি, এ সকল কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে চাই। সম্পদের অপ্রতুলতা ও সম্পদের অপচয় রোধে এ সকল প্রশিক্ষণ ভেন্যু শুধু যুক্তরাষ্ট্রে না করে বাংলাদেশেও করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান।’
দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, সততা সংঘ, সততা স্টোরের মতো বিভিন্ন কর্মসূচির বিবরণ দিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ সব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে মানুষ সততা চর্চাকে বিকশিত করছে। দুর্নীতিকে এ দেশের সাধারণ মানুষ মন থেকে ঘৃণা করে।’
এ ছাড়াও তিনি বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম, পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সেবায় হয়রানি-অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা, সর্বোপরি অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন বহুমখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট (স্ট্রেংথেনিং অব ল’ প্রোগ্রাম)-এর টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রবার্ট লকারি দুদকের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, ‘এটা অনুকরণীয় এবং তিনি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আবারও বাংলাদেশে আসবেন।’
সে সময় তিনি সততা সংঘ, সততা স্টোর ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির কার্যক্রম সরেজমিনে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এর আগে রবার্ট লকারি দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিশনের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে স্ট্রেনদেনিং রুল অব ল’ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় দুদক কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা, প্রসিকিউটর এবং বিচারিক আদালতের বিচারকদের আরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই