Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত


২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৩১

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: শ্রদ্ধা নিবেদন, স্মরণ সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হলো ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী।

এ উপলক্ষে বুধবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থনে প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত ও স্মরণ সভার আয়োজন এবং আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও ক্রোড়পত্র প্রকাশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠকরা প্রয়াত মেয়রকে স্মরণ করছে।

সকালে আজিমপুর কবরস্থানে এসব অনুষ্ঠানে প্রয়াত মেয়রের সন্তান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ছাড়াও সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ সেলিম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর দুপুরে আজিমপুর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং ডিএসসিসি নগর ভবন প্রাঙ্গণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তরা প্রয়াত মেয়র হানিফের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ওপর আলোকপাত করেন। তারা বলেন, তার মতো গুণী রাজনীতিক বিরল। তার এসব অনুকরণীয় অবদান সবাই চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

এদিকে, প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী আলাদা আলাদা শোক বাণী দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার ২৭ নভেম্বর থেকে দুই সপ্তাহব্যাপী বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র সাঈদ খোকন। আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলবে।

উল্লেখ্য, ১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হন হানিফ। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান তিনি। এসময় ছয় দফা প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। তিনি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর সংসদে হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬ এর মার্চের শেষ সপ্তাহে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে মোহাম্মদ হানিফ তার বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে ‘জনতার মঞ্চ’ তৈরি করেন, যা তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতনসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট তৈরি করে। ওই বছরের ১২ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে নির্মম গ্রেনেড হামলায় যারা মানবঢাল তৈরি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ। ওই হামলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রাণে রক্ষা পেলেও তিনি মস্তিষ্কসহ দেহের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হন। ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গণে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মাথায় বিদ্ধ স্প্লিন্টার প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তী সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

ঢাকার মেয়র প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মোহাম্মদ হানিফ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর