ইভিএম কিনতে ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ
৩০ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৩০
।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: অর্থের সংস্থান ছাড়াই অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল বহুল আলোচিত ‘নির্বাচন ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তি প্রয়োগের লক্ষ্যে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার’ প্রকল্পটি। পরবর্তীতে চলতি অর্থবছরেই প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চায় নির্বাচন কমিশন। ফলে তৈরি হয় জটিলতা। এত টাকা এককালীন কোথা থেকে, কিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হবে তা নিয়ে চলে আলাপ-আলোচনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দিতে অপারগতা প্রকাশ করে পরিকল্পনা কমিশন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ নভেম্বর প্রকল্পটির অনুকূলে ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অল্প আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এবং প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কার্যক্রম আপাতত শুরু করতেই এই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
সূত্র জানায়, দেশব্যাপী বিভিন্ন নির্বাচন ইভিএম এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অর্থাৎ দেড় লাখ ইভিএম মেশিন ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার করতে প্রকল্পটি হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট জনবলের জন্য ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ আয়োজন এবং ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট দানের জন্য ভোটারদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম ছিল এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত।
এসব উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পের আওতায় চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।
বরাদ্দ বাড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে
পরবর্তীতে প্রকল্পটি অনুমোদনের পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয় পরিকল্পনা কমিশনের কাছে। কিন্তু এককালীন এত টাকা বরাদ্দের সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দেয় পরিকল্পনা কমিশন। এরপরও গত ২০ নভেম্বর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত (এডিপি) ধীর গতির প্রকল্প থেকে বরাদ্দ কেটে পুনঃউপযোজনের মাধ্যমে ইভিএম প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করে নির্বাচন কমিশন। সেটিও সম্ভব না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দেড়শ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কাছে চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ নভেম্বর ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. জিয়াউল ইসলাম। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘পরিকল্পনামন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ রাখা থোক থেকে ইভিএম প্রকল্পে ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যেহেতু কয়েকটি আসনে মাত্র ইভিএম ব্যবহার করা হবে, তাই এই অল্প বরাদ্দে কোনো সমস্যা হবে না। পরবর্তীতে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
সারাবাংলা/এসআই/এমও