“মাদক ‘খাটে’র নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে”
৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:৪৫
।।সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. জামাল উদ্দিন বলেছেন, মাদক হিসেবে নিউ সাইকোট্রপিক সাবসটেন্সেস (এনপিএস) বা ‘খাট’ এর নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে। যারা দেশে খাটকে মাদক হিসেবে নিয়ে আসত, তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুরুতেই আমরা শনাক্ত করে এটিকে নির্মূল করতে পেরেছি। এটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাফল্য বলে মনে করি।
আরও পড়ুন: ‘খাট’ নিষিদ্ধের উদ্যোগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাগিচা রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘মাদক নির্মূল: মাঠ পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ ও গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক মাদক বিরোধী এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘দেশ থেকে মাদক নির্মূলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে যে সংখ্যক জনবল দরকার তা নেই। মাত্র সাড়ে ১১শ জন জনবল নিয়ে এ দফতরের পক্ষ থেকে মাদক নিমূলে অভিযান চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে অপারেশনাল জনবল মাত্র সাড়ে ৬শ। এই সামান্য সংখ্যক লোকবল নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো চ্যালেঞ্জিং হচ্ছে। যেখানে রাজধানীর একটি বস্তিতে অভিযান চালাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর ২ হাজার ফোর্স ব্যবহার করা হয়। সে তুলনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সফলতা অনেক বেশি।’
তিনি বলেন, ‘মাদকের ট্রানজিট পয়েন্টে হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের টেকনাফে আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কোনো কার্যক্রম ছিল না। এখন সেখানে ১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১০ জন আনসার সদস্য নিয়ে মাদক নির্মূলে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি সরকারি গাড়িও রয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারি গাড়ি বৃদ্ধি করে ৫২ থেকে ১০৪টি করা হয়েছে। সারাদেশের ১৪০টি মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে ২৭০টিতে উন্নীত করা হয়েছে। যেখানে ৪০টি নারী মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ডিজি বলেন, ম্যাসিভ অভিযানের ফলে মাদকের গডফাদাররা গা ঢাকা দিয়েছে। অনেকে দেশের বাইরে চলে গেছে। ভয়ে তারা বের হচ্ছে না। তালিকাভুক্ত গডফাদারদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভা-সেমিনার করছি। মাদকের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে। ট্রাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। কাজ করা হচ্ছ মাদক নির্মূলে। মাদক নিয়ে যারা রিপোর্ট করেন তাদের পুরস্কার দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত শিগগিরই হবে।
সারাবাংলা/ইউজে/এমএইচ
আরও পড়ুন
খাট: বাংলাদেশের ঘাড়ে আফ্রিকান নেশার ভূত!
শাহজালালে আবারও ১৪০ কেজি খাট জব্দ