Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএন‌পি-জামায়াত এলে না‌রীরা বোরকা ছাড়া বের হ‌তে পার‌বে না’


৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৩

।। স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বিএন‌পি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশের না‌রীরা বোরকা ছাড়া ঘ‌রের বাইরে বের হ‌তে পার‌বে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কা‌দের।

তিনি ব‌লেন, ‘এটা কি আমা‌দের দে‌শের নারীরা মে‌নে নে‌বে? কখনই মে‌নে নে‌বে না।’

বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন- ম‌নোনয়ন বাণিজ্য আ. লীগ‌কে র্স্পশ কর‌তে পা‌রেনি: কাদের

ওবায়দুল কাদের ব‌লেন, এবারের নির্বাচনে আমাদের বিজয়ের বিকল্প নেই। আমাদের পরাজয় মানে ২০০১ সালের অন্ধকার, আমাদের পরাজয় মানে বাংলাদেশে রক্তের নদী বয়ে যাওয়া। ২০০১ ও ২০১৪ সালে যে বিভীষিকা, রক্তপাত, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, আমরা কি সে অমানিশার অন্ধকারে ফিরে যেতে চাই? চাই না। তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিএন‌পি কেন্দ্র পাহারা দিতে এলে আওয়ামী লীগকেও কেন্দ্র রক্ষা করতে হবে মন্তব্য করে কাদের ব‌লেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তির কাছে রাজনীতির একটি বড় অস্ত্র আছে। সেটা হলো ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার। এই হাতিয়ার আবার ভাঙতে পারে, সতর্ক থাকতে হবে। তারা আবার নাশকতা করতে পারে, সহিংসতা করতে পারে। শুরুটা তারাই করেছে। তফসিলের পর পল্টনের নারকীয় তাণ্ডব। তারা দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে।

ড. কামাল হোসেন বিএনপির রাজনীতির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি এখন নেতা নন, নির্বাচনও করছেন না। তাহলে তাদের নেতা হচ্ছে পলাতক, দণ্ডিত আসামি তারেক রহমান। তার নির্দেশে কামাল হোসেন সাহেব এখন কথাও বলেন না। তারেক রহমানের নির্দেশে কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মহসিন মন্টু পরিচালিত হচ্ছেন। কী লজ্জা! বাংলাদেশের জনগণ কি এত বোকা? এই মানুষগুলোর অসহায় আত্মসমর্পণ খুনির কাছে, দুর্নীতির কাছে। তারা নাকি পাহারা দিতে আসবে। আসুক, আমরাও কেন্দ্র রক্ষা করব।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে— বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, তিনি আওয়ামী লীগকে ৩০ আসনের বেশি দিতে চান না। ২০০৮ সালে পেয়েছিলেন ২৯ সিট। আমরা কিন্তু ক্ষমতায় থেকে প্রতিপক্ষকে এত সিট দেবো— এমন অহংকারী উচ্চারণ একবারও করিনি। কারণ ক্ষমতার মালিক আল্লাহ, তারপর দেশের জনগণ। জনগণই ঠিক করবে কাকে কত সিট দেবে। ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আপনি কি জ্যোতিষবিদ্যা শিখলেন? বারবার শুধু সংখ্যাতত্ত্ব, ১০টি সিট, ২০টি সিট। আপনার নেত্রী বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এবারও তো ১০ বছর ছুঁই ছুঁই। যতই আস্ফালন করবেন, ততই পতন ঘটবে।

মির্জা ফখরুলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ১০ বছরের কাজ বিএনপি ক্ষমতায় এলে পরিত্যক্ত হবে। কারণ তারা নাকি পদ্মা সেতুতে উঠবে না। সেটা নাকি জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হচ্ছে এবং জনগণকে উঠতে মানা করে দিয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি মির্জা ফখরুলকে, আপনাদের এমন কোনো কাজ আছে যে কাজ স্মরণ করে এ দেশের মানুষ আপনাদের ভোট দেবে?

আছে হাওয়া ভবন, আছে গ্রেনেড হামলা, উত্তরবঙ্গে বাংলা ভাই আর বিদ্যুতের নামে খাম্বা। বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, যারা আন্দোলনে ব্যর্থ তারা নির্বাচনেও বিজয়ী হতে পারে না।

ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, ১০ বছরে জনগণ কি তাদের আন্দোলনে সাড়া দিয়েছে? জোয়ার কি এসেছে মরা গাঙে?

যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহে আলম মুরাদসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এমএমএইচ/টিআর

ওবায়দুল কাদের যৌথ সভা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর